শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:০০:৩৭

ফেরত দিচ্ছে না ধার দেওয়া টাকা? জানুন উদ্ধােরের উপায়

ফেরত দিচ্ছে না ধার দেওয়া টাকা? জানুন উদ্ধােরের উপায়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া না গেলে তা উদ্ধার করা কখনো কখনো বেশ কঠিন হতে পারে। যদি ঋণগ্রহিতা সত্যিই অসমর্থ হন তবে সেক্ষেত্রে সময় দেওয়া বা ক্ষমা করে দেওয়া উত্তম। তবে যদি এমন হয় যে সামর্থ্য থাকার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা ফেরত দিচ্ছে না, তখন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। 

বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীই হোক না কেন, এই জাতীয় বিষয়ে সম্পর্ক সুন্দর রেখে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ, ধার দেওয়ার পর যেন সম্পর্ক নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এক্ষেত্রে কী করবেন-

স্পষ্টভাবে কথা বলুন
আপনার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ঋণগ্রহিতার সঙ্গে কথা বলুন। শান্তভাবে তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বা ফোনে কথা বলুন। চাইলে মেসেজেও লিখতে পারেন। অনেক সময় ভুলে যাওয়ার কারণে টাকা বা ঋণের বস্তু ফেরত দেওয়া হয় না, তাই মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যে পরিমাণ অর্থ বা যে বস্তুটি ধার দেওয়া হয়েছিল এবং কখন তা ধার দেওয়া হয়েছিল তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন এবং কখন তা ফেরত পাবেন সে সম্পর্কে আপনার প্রত্যাশা জানান। এমনভাবে বলুন, যেন ঝগড়া না বাঁধে বা ভুল বোঝাবুঝি না হয়।

সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিন
যদি ঋণগ্রহীতা আপনাকে পরিশোধের তারিখ না করে দেন, তাহলে আপনি তাকে টাকা বা জিনিস ফেরত দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিতে পারেন। ভদ্রভাবে ঋণগ্রহীতাকে জানান যে কেন আপনার এটি নির্দিষ্ট তারিখে ফেরত প্রয়োজন। তার লক্ষ্য ঠিক থাকলে সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ধারের টাকা বা বস্ত ফেরত দিতে পারবে।

ভাগ ভাগ করে নিন
যদি ঋণগ্রহিতা একবারে  সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করতে না পারে তাহলে টাকাটা ভাগ ভাগ করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি দশ হাজার টাকা পান তবে তা একবারে না দিতে পারলে প্রতি মাসে দুই হাজার করে  পাঁচ মাসে সমস্ত টাকাটা ফেরত দিতে পারেন। আপনি কিছুটা নমনীয় হলে হয়তো তা ঋণগ্রহিতার জন্য উপকারী হবে। তাই এভাবে বিবেচনা করতে পারেন।

লিখিতভাবে রাখুন
বড় অঙ্কের অর্থ বা মূল্যবান সম্পদ ধারও দেয়ার ক্ষেত্রে লিখিতভাবে ঋণপত্র তৈরি করুন। পরিশোধের শর্তাবলী এবং সে সময়সীমা মিস করলে যেকোনো জরিমানা প্রাপ্ত হবে কি না সে বিষয়ে বিবরণ দিয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি করুন। চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য উভয়ের স্বাক্ষর করা উচিত। লিখিত কাগজ থাকা একটি ভালো অনুস্মারক এবং ঋণগ্রহীতাকে আরও দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করবে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে এটি আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। পদ্ধতির এই ধাপটি আনুষ্ঠানিক, যার অর্থ হলো বাধ্যবাধকতা গুরুতর এবং পরিশোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে