এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দেশের বাজারে ৪৫ হাজার টাকার নিচে দেড় টনের নতুন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি পাওয়া যায় না। এসির দামও প্রতিবছর একটু একটু করে বাড়ছে। তাই বর্তমান বাজারে এসি কেনা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুরোনো এসি পাওয়া গেলেও বারিধারা এলাকার জে–ব্লকের ২০ নম্বর রোডের পাশে ১২ থেকে ১৫টি পুরোনো এসির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে ব্যবহৃত একেকটি এসি পাওয়া যাবে ১৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কম দামে এসি মিলবে বারিধারার এই বাজারে। বারিধারার এসব এসির দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও ধরনের এসি একসঙ্গে পাওয়া যায় বলে এই মার্কেটে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, গরমে প্রতিদিন এই বাজার থেকে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টির বেশি পুরোনো এসি বিক্রি হয়।
সম্প্রতি মদিনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার এসি বিক্রি হয়। গরমের সময় এসি বেশি বিক্রি হওয়ায় মাসে গড়ে এক থেকে দুই লাখ টাকা মুনাফা হয়।’
যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী সাইফুল হাসানের সঙ্গে এই বাজারে কথা হয়। নিজ এলাকায় চশমার ব্যবসা করেন। দোকানের জন্য এসি কিনতে আসা। নতুন এক টনের ইনভার্টার এসি কিনতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকার বেশি। তাই পুরোনো এসির মার্কেটে এসেছেন এসি কিনতে। তিনি জানান, ‘এখান থেকে একটি এক টনের এসি কিনেছি ৩০ হাজার টাকায়। কম্প্রেসরের জন্য দুই মাসের ওয়ারেন্টি দিয়েছে। তাই কিছুটা ভরসা করেই কিনেছি।’