নিউজ ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণ হারিয়ানার ২০০৬ সালের ২৩ জুলাই মাটির নিচে ৬০ ফুট গভীর পাইপ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রিন্স নামের পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশুকে। ভারতীয় সেনাবাহিনী টানা ৫০ ঘণ্টার অভিযানে কূপ খনন করে জীবিত উদ্ধার করে শিশুটিকে। সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এ ঘটনায়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ অভিযান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রিন্সকে উদ্ধারের পর গোটা ভারত উল্লাসে মাতে। ভারতে সর্বধর্মীয় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস, বিরোধী দল বিজেপিসহ সব দল রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে প্রিন্সকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।
শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে বাইরে থেকে অক্সিজেন, খাবার, পানি ও আলো সরবরাহ করা হয়। জিয়াদকেও বাইরে থেকে অক্সিজেন, খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে জিয়াদের মতো ২০০৬ সালের ২১ জুলাই খেলতে গিয়ে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের সেচের পাইপে পড়ে যায় প্রিন্স। গ্রামবাসী ও পুলিশ প্রথমে উদ্ধারে অভিযান চালায়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচারের পর পুরো দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রকৌশল রেজিমেন্ট পাঠানো হয়।
প্রিন্সকে জীবিত উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। কাকতালীয়ভাবে দিনটি ছিল প্রিন্সের জন্মদিন। সাদা তোয়ালেতে জড়িয়ে যখন তাকে কূপ থেকে বের করে আনা হয় পুরো দেশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে স্বস্তি প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয়।
তবে এ বছরের ১৭ জুন ভারতের দক্ষিণ কর্নাটকে অক্ষতা নামের চার বছর বয়সী এক কন্যা শিশু সেচের পাইপে পড়ে যায়। তবে তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ৫০ ঘণ্টার অভিযানে অক্ষত উদ্ধার করা যায়নি অক্ষতাকে।