এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : 'আমাদের অফিসটি একটা আস্ত জঙ্গল। মাঝেমধ্যে ঠিকঠাকই থাকে, কিন্তু কয়েকদিন এমন, মনে হয় যে লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস-এর কোনও দৃশ্য।' -- নাটকীয় মনে হলেও, এটাই বাস্তব। কোনও কথা নেই বার্তা নেই, অফিসের হাওয়া-বাতাসে প্রতিশোধের গন্ধ! যতক্ষণ না এই ঝড় বয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ সাবধানে থাকাই ভালো। কিন্তু কী ভাবে বুঝবেন, অফিসে সহকর্মীরা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন?
একটি বাক্য কানে এলেই বুঝবেন 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।' কী সেই বাক্যটি? আপনার সহকর্মী যদি আপনাকে বলে, 'তুমি করে নাও'- তা হলে বুঝবেন আপনার মাথার ওপর সমস্যার মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে। এমন না-ও হতে পারে, কিন্তু সাবধানের মার হয় না।
মনে রাখবেন, সহকর্মী আপনাকে কোনও কাজ করে নিতে বলছেন মানে, আপনার দিকে কাজ ঠেলে দেওয়ার চেয়েও বড়স্তরের পরিকল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁর মাথায়।
আশপাশে নিম্নলিখিত কিছু ঘটলে আপনার মাথায় বিপদ-ঘণ্টি বেজে যাওয়া উচিত--
বিভেদ- ভাবুন, আপনি একটি মিটিংয়ে উপস্থিত। যেখানে সহকর্মীরা নিজেদের মধ্যে নতুন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব কী ভাবে বণ্টন করা হবে, সাধারণত সে বিষয়েই টিম মেম্বাররা আলোচনা করেন। সহকর্মীরা প্রশ্ন করেন এবং পরামর্শ দেন, কখনও নির্দেশ দেয় না। কিন্তু যখনই আপনি ওই বাক্যটি শুনবেন, বুঝে যান, সহকর্মী আপনার সঙ্গে সহযোগিতা ছেড়ে বিভেদের পথে হাঁটা শুরু করেছেন।
রাগ- 'তুমি করে নাও', সাধারণত রাগবশত বলা হয়ে থাকে। সহকর্মীরা প্রশ্ন করেন, পরামর্শ দেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, কিন্তু আদেশ দেন না। তবে সহকর্মীর মনে যখন 'আমি' বনাম 'তুমি'-র মানসিকতা গড়ে ওঠে, তখন তাঁরা আপনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন না। বরং সহকর্মীর মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে আপনাকে।
দোষারোপ- আপনি ও আর একজনকে কোনও কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন, সেই কাজের সমস্ত দায়িত্ব একা আপনারই। কারণ, পান থেকে চুন খসলে, সহকর্মীটি সব দায়ই চাপাবেন আপনার ঘাড়ে। সটান জবাব দেবেন, 'এই কাজটি তো ওঁরই করার কথা ছিল।' দোষটি আপনার কাঁধে চেপে গেলে কিন্তু পালানোর জায়গা থাকবে না। আপনার সেই 'ভুল'টিই সহকর্মীদের মুখে মুখে ঘোরাফেরা করবে।
কী ভাবে নিস্তার পাবেন এ থেকে? চোখ-কান খোলা রাখুন। সবদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনও খবরই ছোট খবর নয়, তাই সবকিছুই শুনবেন। নিজের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলেও স্বচ্ছতার কথাটি মাথায় থাকে যেন। ঢাক ঢাক গুর গুর না-করাই ভালো। আপনার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা না-হলে পরামর্শদাতার শরণাপন্ন হন। প্রয়োজনে সেই জায়গাটি ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। -ইন্ডিয়াটাইমস