মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬, ০৯:০৫:০২

দোকান আছে দোকানদার নেই, ইচ্ছেমত কিনে বাক্সে টাকা ফেলুন!

দোকান আছে দোকানদার নেই, ইচ্ছেমত কিনে বাক্সে টাকা ফেলুন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দোকান আছে দোকানদার নেই, ইচ্ছেমত কিনে বাক্সে টাকা ফেলুন।  আজগুবি মনে হলেও ঘটনা একবারে সত্যি।  বাংলাদেশ বলে কথা, যেখানে পাহারা দিয়েও রক্ষা করা যায় না জিনিসপত্র।  মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে নিরাপদে রাখতে হয় জুতা।  তারপরও অনেককে খালি পায়ে মসজিদ থেকে গন্তব্যে বের হতে হয়।

তবে কুষ্টিয়ার কুমারখালির হামিদুর রহমান বিশ্বাস স্থাপনে এমনই দোকান খুলে বসেছেন যেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে বাক্সে টাকা পরিশোধ করতে হয়।  

হামিদুর রহমানের দোকানে বিভিন্ন ধরনের কাপড়, রুমাল, গামছা রয়েছে। প্রত্যেকটি জিনিসের সাথে মূল্য সংযুক্ত করা রয়েছে।  কেনার পর নির্দিষ্ট বাক্সে মূল্য দিয়ে চলে যেতে পারেন ক্রেতা।

কেন এ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন হামিদুর রহমান এমন প্রশ্নের জবাবে জানালেন, পেশায় মূলত তিনি হকার।  দোকানে বসে থাকলে হয়তো তার পরিবারের খরচ জোগাতে পারেন না।  তাই তিনি রাস্তায় ফুটপাতে রুমাল বিক্রি করে বেড়ান।  দোকান দিয়েছেন কিন্তু সেই দোকানে বসে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়।  

তিনি জানান, দৈনিক সংসার চালানোর খরচ দোকান থেকে না-ও উঠে আসতে পারে।  তাই দোকান খুলে তিনি ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে রুমাল বিক্রি করে বেড়ান।  দোকানে লোকজন আসলে জিনিস পছন্দ হলে সেটা মূল্য তালিকা দেখে ক্রয়ের টাকা বাক্সে ফেলে চলে যান।

খোলা দোকানে চুরি হয় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান জানান, দেড় বছর ধরে এভাবেই দোকান চালাচ্ছেন তিনি।  দৈনিক ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা আয় হয়।  দোকানের নামও দিয়েছেন ‌‘ভিন্নরকম দোকান’।  বিস্ময়কর বিষয় হলেও সত্য- দোকানের জিনিসপত্র কোনোদিন চুরি হয়নি।  যে জিনিসগুলো বিক্রি হয়েছে সেগুলোর টাকা বাক্সে পেয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, আল্লাহর রহমতে আমার দোকান থেকে কেউ কোনোদিন কিছু চুরি করেনি কিংবা চুরির কোনো আলামত পাইনি।  ব্যবসাও খারাপ না। মানুষজন নিজের ইচ্ছেমতো ক্রয় করে বাক্সে টাকা পরিশোধ করে যান। এভাবেই চলছে দোকান।
২২ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে