বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৯:১৮

গ্রেফতার হলে আপনার করণীয়

গ্রেফতার হলে আপনার করণীয়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : হরতাল কিংবা অবরোধের সময় সবচেয়ে বেশী ভয়ে থাকেন সাধারণ জনগন। প্রথমত তারা সহজে ঘর থেকে বের হতে পারেন না।  আবার যদিও কোন জরুরী দরকারে বের হতে হয়, তখন থাকে গ্রেফতারের ভয়।   

এছাড়াও পুলিশ বিভিন্ন অভিযানে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আটক করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে কোন অভিযোগ ছাড়া কাউকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হয় অথবা কোন আইনের আওতায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে হয়। তারপর কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে আটকাদেশ দিতে পারেন।

পুলিশ গ্রেফতার করলে করণীয়:

পুলিশের নিকট নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে।

পেশজীবি বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। এ কারণে সবসময় পরিচয়পত্র সাথে রাখা উচিত।

এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবির ফোন নম্বর সাথে রাখা যেতে পারে এবং গ্রেফতারের পর দ্রুত আইনজীবিকে বিষটি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত আত্নীয় বা বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
    
ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেয়া হয়, আর যে কোন থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়া হয়।
    
গ্রেফতারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন, কাগজ, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি থাকলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরী করে আটককৃত ব্যক্তির সাক্ষর নেয়। এই সাক্ষর দেবার সময় তালিকাটি পড়ে নেয়া উচিত।

পুলিশ অফিসারের নিকট কোন বিবৃতি দিলে তা পাঠ করে বা বিবৃতির ভাষ্য অবগত হয়ে তাতে স্বাক্ষর করা উচিত।
    
গ্রেফতারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

গ্রেফতারের পর কোন পর্যায়ে  নির্যাতনের শিকার হলে বা  অসুস্থ হলে  আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিতে নেয়া যায়। চেকআপ করালে এ রিপোর্টটি সংগ্রহে রাখা উচিত। চেকআপকারী ডাক্তারের পরিচয় জেনে রাখা উচিত কারণ তা পরবর্তীতে প্রয়োজন হতে পারে।

পুরনো কোন মামলায় গ্রেফতার হলে দ্রুত ঐ মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে।

নতুন কোন মামলায় বা কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে