এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার প্রকোপ সাম্প্রতিক সময়ের মহামারিগুলোর মধ্যে সব চেয়ে মারাত্মক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এ’বছর গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং নাইজেরিয়াতে ইবোলায় প্রায় চার হাজার লোক মারা গেছে, যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ইবোলা হচ্ছে একটি ভাইরাস-জাতীয় রোগ যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে হঠাৎ করে জ্বর, গভীর দুর্বলতা, পেশিতে এবং গলায় ব্যথা।
এই সব লক্ষণ শুধু শুরুই মাত্র। এর পরে আসে বমি, ডায়রিয়া এবং – কোন কোন ক্ষেত্রে – শরীরের ভেতরে এবং বাইরে রক্তপাত।
মানব দেহে এই রোগের সংক্রমণ হয় রোগে আক্রান্ত পশু, যেমন শিম্পাঞ্জি, বাদুর এবং এ্যান্টিলোপের কাছাকাছি আসলে।
মৃত্যুর পরও সংক্রমণ
এরপর একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে এই রোগ সরাসরি ছড়ায় মূলত রক্ত, শারীরিক তরল পদার্থ বা অঙ্গের মাধ্যমে।
আবার, যে জায়গায় রোগ ছড়িয়েছে, সেই পরিবেশে থাকলেও সংক্রমণ হতে পারে।
এমনকি ইবোলায় মারা যাওয়া মানুষের শেষকৃত্যের সময়ও সংক্রমণের আশংকা থাকে, যদি সুস্থ কেউ মৃতদেহের সংস্পর্শে আসে।
ভাইরাস সংক্রমণের পর রোগ পুরোপুরি বিস্তার লাভ করতে দু’দিন থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, এবং এই রোগ সনাক্ত করা বেশ কঠিন।
আফ্রিকা থেকে এশিয়া
মানব দেহে যে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে, তা মূলত আফ্রিকা মহাদেশেই সীমাবদ্ধ, যদিও ফিলিপিন্স-এ এই রোগের একটি প্রজাতি ধরা পরেছে।
স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে রোগীর সেবা করেন, তাহলে তারা নিজেরাই আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।
যতক্ষণ রোগীর রক্ত এবং শরীর থেকে নির্গত হওয়া তরল পদার্থ যেমন ঘাম ইত্যাদিতে ভাইরাসটা থাকবে, ততক্ষণ সেই রোগীর সংস্পর্শে আসলে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থাকে।
এমনকি রোগী সেরে ওঠার সাত সপ্তাহ পর্যন্ত সেই ঝুঁকি থেকে যায়।
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/ আল-আমিন/এএস