এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এমন এক প্রধানমন্ত্রী, যিনি নিজেই নিজের বাসন মাজেন, এমনকি আবর্জনাও ফেলেন! বলছি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কথা, যিনি দেশ চালানোর পাশাপাশি সংসারের কাজেও বেশ পটু।
তার স্ত্রী আাকি এক সাক্ষাৎকারে তার স্বামী সম্পর্কে ঠিক এমন কিছু মজার কথাই জানিয়েছেন। এছাড়াও জাপানে নারীদের আরও এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন এই স্বামী-স্ত্রী।
জাপানের সমাজ অত্যন্ত পুরুষতান্ত্রিক হিসেবে পরিচিত। তার উপর সে দেশের প্রধানমন্ত্রীও রক্ষণশীল দলের নেতা। কিন্তু তার স্ত্রী জানালেন, শিনজো আবে মোটেই ‘ম্যাচো' প্রকৃতির মানুষ নন। আসলে তিনি নিজেই এত ব্যস্ত থাকেন যে, স্বামীকেই সংসারের অনেক কাজ সামলাতে হয়। প্রধানমন্ত্রী তাই কখনো রান্নাঘরে বাসন মাজেন, কখনো আবর্জনা বাইরে ফেলে দিয়ে আসেন।
জাপানে নারীদের এগিয়ে চলার পথে সংসারে এমন ‘ফ্লেক্সিবিলিটি' প্রয়োজন বলে মনে করেন আকি আবে। তার স্বামীও সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে নারীদের আরও বেশি করে শামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বুধবারই শিনজো আবে নিজের ১৮ সদস্যের মন্ত্রিসভায় পাচজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করলেন। এমন প্রতীকী পদক্ষেপ সত্ত্বেও জাপানে এমনকি অনেক উচ্চশিক্ষিত নারীও কর্মজগতে বেশি এগোতে পারেন না। ফলে উচ্চ পদে তাদের অনুপাত অত্যন্ত কম৷
সংবাদ সংস্থা এক সাক্ষাৎকারে আকি আবে নিজের স্বামীর সম্পর্কে আরও কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শিনজো আবে তাকে নানা কাজে উৎসাহ দেন। তাই তিনি অরগ্যানিক চাল থেকে শুরু করে সমকামীদের অধিকার – বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ফার্স্ট লেডি হিসেবে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। যে কারণে প্রায়ই সারা দিন বাইরে বাইরে থাকতে হয় তাকে। ঘরকন্নার দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় থাকে না। তখন প্রধানমন্ত্রীই ঘরের হাল ধরেন।
তবে আবে পরিবারের সংসারে যে একেবারে সংঘাত হয় না তা নয়। যেমন প্রধানমন্ত্রী ঘরের জিনিসপত্র প্রায়ই এদিক-ওদিক সরিয়ে রাখেন। কিন্তু ফার্স্ট লেডি এমন স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ মোটেই পছন্দ করেন না। কারণ তার মতে, সে সব ‘ভুল' জায়গায় রাখা হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রীকেও ধমক খেতে হয়। মাঝে মধ্যে তাকে নীচু স্বরে নিজের মনে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখেছেন আকি আবে। তবে কখনো নিজের ‘পৌরুষ' দেখিয়ে স্ত্রীকে নির্দেশ দেন না শিনজো আবে। শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশ্নে স্ত্রীর মতামত শুনলেও নিজের লক্ষ্যেই অটল থাকেন তিনি।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/