যে নীতি মেনে উন্নতির উচ্চশিখরে অ্যাপেল-জনক
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আই ফোনের নবম সংস্করণ ইতিমধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে বাজারে। আর এ বছরই অ্যাপলের জনক স্টিভ জোবস-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তার মাথায় যে উদ্ভাবনী কিছু ছিল এ নিয়ে নতুন করে কোনও কথা বলার প্রয়োজনই পড়ে না। কিন্তু এই উত্কর্ষের শিখরে পৌঁছানোর জন্যে কিছু নীতি মেনে চলতেন তিনি। কি ছিল তার ম্যাজিক ফর্মুলা?
ভবিষ্যত্কে দেখার ক্ষমতা থাকা উচিত : বর্তমানের মাটিতে পা-কে শক্ত করে টিকিয়ে রেখে ভবিষ্যতের আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর আর এক নাম স্টিভ জোবস। তাঁর মতে আমরা যদি ভবিষ্যত্কে আগাম চিনতে না-শিখি তাহলে কোনও দিনই কোনও মহত্ আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না।
পজিটিভ থাকার চেষ্টা করুন: জীবনে যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, মনের জোর হারালে কখনওই সাফল্য আসবে না।
শেখার কোনও শেষ নেই : জীবনে জানার ইচ্ছে চলে গেলে তা মৃত্যুরই সমান। যেখানে যা ভালো, তা শিখে নিতে পারলে কবে কখন তা কাজে এসে যাবে আগাম বলা যায় না।
ভ্রমণ সমৃদ্ধ করে : হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই বিশ্বাস করতেন স্টিভ জোবস। তার মতে ভ্রমণ মানুষের চিন্তা ভাবনার পরিধি বাড়াতে সাহায্য করে। মানুষকে সমৃদ্ধ করে। অ্যাপেল লঞ্চ করার আগে জোবস ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন। জীবনে তিনি কী করতে চান, শুধু এই প্রশ্নের খোঁজই তাকে টেনে এনেছিল ভারতে।
ভালো মানুষের সংস্পর্শে থাকুন : ভালো সঙ্গের প্রভাব আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলতে বাধ্য। ঠিক এই কারণেই স্টিভ এমন মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন যাদের। সান্নিধ্য তাকে আরও সমৃদ্ধ করত।
ব্যর্থতাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করুন : হ্যাঁ, জীবনে ব্যর্থ না হলে সাফল্যের স্বাদ পাওয়া যায় না। তবে সেই ব্যর্থতাকে নিজের খামতি মনে না করে, তাকে নিজের শক্তি বানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। আর ঠিক এভাবেই সাফল্যে পেয়েছেন স্টিভ জোবসও।
কাজের প্রতি ভালোবাসা : ভালোবেসে কাজ করলে সেই কাজে সাফল্য আসতে বাধ্য। এই মন্ত্রই আজীবন বিশ্বাস করে এসেছেন স্টিভ জোবস।
ঝুঁকি নিতে শিখুন : ঝুঁকি নিতে না জানলে কোনওদিন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার মানসিক জোর থাকলে তবেই কোনও মহত্ কিছু করা সম্ভব জীবনে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস