এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সমগ্র দিনের কাজের শেষে বাড়িতে এসে আমরা শুরু করি টেলিভিশন দেখা, নয়ত পরিবার পরিজনদের নিয়ে আড্ডা। কোন আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে রাত ১২টা বানিয়ে ফেলেন। আবার একবার ফেসবুকে বসলে হয়, তখন আর কোন জ্ঞান থাকে না। আমরা এখন এমন জীবন-যাবনে অভ্যস্ত, যে, বাড়ি ফিরেই ডিনার খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না।
তখন চাই হালকাখাবার। আর সেটা যদি চিপস, চানাচুর, তেলেভাজা হয়, টা হলে তো কথাই নেই। তারপর রাত করে পছন্দের অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে ডিনার। মনে হতেই পারে, এতে অসুবিধের কী আছে? আপনার অসুবিধে না থাকলেও, পেটের অসুবিধা থাকতে পারে। ওভারলোডিংয়ের ফলে সে খাবার হজম করতে পারে না। তাই, সন্ধ্যে ছ’টা-সাড়ে ছ’টা র মধ্যে প্রপার মিল নিন। আবার আটটা-সাড়ে আটটায় খুব হাল্কা কিছু খান।
রোজকার আরেকটা খারাপ অভ্যাস হল, প্রচুর খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পরা। খালি পেটে যেমন ঘুম আসে না, ঠিক তেমনই বেশি খেলে ঘুম ভাল হয় না। ক্যালরি বার্নের জন্যে ভাল ঘুম খুব দরকার। কারণ, আমরা যখন ঘুমাই, বডি সেল রিপেয়ার্ড হয়( ঠিক যে কারণে আমরা রাতে মুখে দামি ক্রিম লাগাই), হরমোনাল ব্যাল্যান্স ভাল হয়, সেল রিজুভিনেশন হয়, পরের দিনের জন্যে আমাদের শরীর তৈরি হয়।
ঘুম ভাল না হলে হরমোন বা লিন টিস্যু, ফ্যাট বারনিং প্রসেসকে সাপোর্ট করতে পারে না। রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের কাজ একমাত্র ‘রিপেয়ার অ্যান্ড রিজুভিনেট’। এবার যদি বেশি খেয়ে ফেলেন,তা হলে শরীর দোটানায় পরে যায়। খাবার হজম করবে না, না সেল রিপেয়ার করবে বুঝতে পারে না। ফলে, খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, সেল রিজুভিনেটও পুরোপুরি হয় না। ফলে, সকালে ঘুম থেকে উঠে শুধু ক্লান্তই লাগে না, পেট ফুলে যায়, অ্যাসিডিটি হয় , ঢেঁকুড় ওঠে।
নিয়মিত, সাড়ে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে, দেখবেন শরীর ও মন ভাল থাকবে, মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। ডিনারে নিয়মিত স্যুপ, স্যালাড, গ্রিলড ফিশের মতো হাল্কা খাবার খান। এতে আপনার শরীর সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/