চড়-থাপ্পড়ে সৌন্দর্য!
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চড়-থাপ্পড়ে সুন্দর থাকা যায়- এ কথা শুনলে অবাক হওয়ারই কথা। মানুষ খুব রেগে গেলেই এসব আচরণ করে থাকেন। সৌন্দর্যচর্চায় এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিতই বটে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তা-ই।
ফেস-স্ল্যাপিং, একটি থাই সৌন্দর্য চিকিৎসা; যা বলিরেখা, লোমকূপ ও ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান এনে দিচ্ছে। এমনটাই বলছেন মাওয়িন সামবানথাম সান ফ্রান্সিসকোর টাটা ম্যাসাজের সহযোগী স্বত্বাধিকারী। তিনি ও তার স্ত্রী টাটা, যার আসল নাম র্যা সামিসাইটার্ন, এমন সৌন্দর্যপদ্ধতি নিয়েই কাজ করছেন তিনি।
এ পদ্ধতিতে গাল, থুতনি আর কপালে দ্রুত চড় দেয়া হয়। মুখের পেশি ও চর্বি নাড়িয়ে দেয়া হয়। তারপরই আস্তে আস্তে মুখের পরিবর্তন দেখা যায়। ব্যথা; সে তো খুব সামান্যই। ছোট্ট পিঁপড়ের কামড়ের মতো।
সানফ্রান্সিসকোতেই প্রথম এ সৌন্দর্যসেবা চালু হয়। আছে থাইল্যান্ডে, যেখানে টাটা এ শৈল্পিক সৌন্দর্যসেবা শিখেছেন। অল্প কয়েকজন মাত্র এ পদ্ধতি জানেন।
কারণ টাটার শিক্ষক এ কাজে লোক বাছাই করার ব্যাপারে খুবই সচেতন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি জীবদ্দশায় মাত্র দশজন ছাত্র গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
সামবানথাম এ পদ্ধতিকে বোটক্স, প্লাস্টিক সার্জারি ও ফেস ক্রিমের বিকল্প বলে দাবি করছেন। এমনকি নিউইয়র্কের প্লাস্টিক সার্জন ড. মেথিউ এসচুলম্যান তার দাবি সঠিক বলেছেন।
তার মতে, মুখে থাপ্পড় দেয়ার এ পদ্ধতিতে ধমনিতে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং কোলাজেন উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে।
তাহলেই ভাবুন তো; সৌন্দর্যচর্চা নিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষ কতটা সচেতন!
আপনি বাড়িতে বসে সময় নিয়ে, নাইট ক্রিম মাখার সময় হালকা হাতে মুখে থাপ্পড় দিয়ে দেখতে পারেন……যদি রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
সাধারণত কেউ কারো ওপর চটে গেলে ঘটে চড়-থাপ্পড় দেয়া-নেয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কিন্তু তাই বলে কেউ সেধে গাল পেতে দেবেন অন্যের সামনে, চড় খাওয়ার জন্য?
নিজের চেহারার জেল্লা বাড়াতে পৃথিবীতে এমনটাও ঘটছে। কেননা চড়ে নাকি বাড়বে সৌন্দর্য! তাই বলিরেখা ও শিথিল ত্বকের মতো সমস্যা মেটাতে অনেকেই গাঁটের টাকা খরচ করে চড় খাচ্ছেন। পশ্চিমা বিশ্বে সানফ্রান্সিসকোতেই প্রথম তারা এ সৌন্দর্যসেবা চালু করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস