বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১৮:৫০

প্রেমে জেনারেশন গ্যাপ হলে

প্রেমে জেনারেশন গ্যাপ হলে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আপনার সঙ্গিণী যদি বয়সে বড় হন তবে মানুষ অন্তত একবার হলেও ঘুরে তাকাবে আপনার দিকে। প্রেমের ক্ষেত্রে আদর শাসন উভয়ই গ্রহণযোগ্য। তবে বয়সে ছোট প্রেমিকার ন্যাকামি আবার অসহ্য। অন্যদিকে মেয়েদের পছন্দনীয় এমন পুরুষ, যারা প্রেমিকার প্রাধান্য দেবে বেশি, শাসন করবে কম। তাই জেনারেশন গ্যাপেও আপত্তি নেই তাদের।

তবে এখন বয়সে বড় প্রেমিকার প্রেমে পড়ার ট্রেন্ড বিশ্বে নতুন নয়। আমাদের দেশেও এ পথে হাঁটা বহু প্রেমিক যুগল রয়েছেন। তাছাড়া প্রেমে বাড়াবাড়ি এ যুগের ছেলেদের কাছে বেশ অপছন্দ হয়ে উঠেছে। বরং বয়সে বড় হলেই স্বাচ্ছন্দ্যে প্রেম করা যায়। বয়সের পার্থক্য যতো বেশি, প্রেম ততো দূরন্ত। প্রেমিকার চাহিদা পূরণে কোন কার্পণ্য নয়।

সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে প্রেমিকার ইচ্ছার প্রাধান্য দিতে। মেয়েরাও পেয়ে যায় তার আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ। এতে উভয়ের মন থাকে তুষ্ট। তাই প্রেমের রসায়নটা একদম মন্দ যায় না। এ দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে ভারতীয় মনোবিজ্ঞানী অসীম মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রেমিক বয়সে যতো ছোট হয়, তার এনার্জি লেভেল ততো বেশি হয়। এতে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বড় প্রেমিকার প্রেমের রসায়ন আরো জোরদার হয়।

অনেক ছেলের ধারণা, পরিণত বয়সের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করলে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে হয় না। প্রেমিকাই পারে বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে। যা বয়সে ছোট প্রেমিকার পক্ষে সম্ভব নয়। কর্মক্ষেত্রে এখন বয়সে বড় প্রেমিকারা সমান হারে দক্ষতা দেখাতে সক্ষম। এক্ষেত্রে তাদের অনেক সাহায্য পেয়ে যান ছেলেরা। তাই প্রেমিক হিসেবে থাকা যায় অনেকটা নির্ভার।

সুখি দাম্পত্য নিশ্চিত করতে যৌনচাহিদাকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের দম্পতিদের যৌনজীবনও হয় যথেষ্ট সুখের। কম বয়সী ছেলের পারদর্শীতাও থাকে চমৎকার এবং দীর্ঘস্থায়ী। যা প্রেমিকার চাহিদা পূরণে পালন করে অব্যর্থ ভূমিকা। সঙ্গিণীর প্রতি অবহেলা তো আসেই না বরং তার খুশি ধরে রাখতে থাকে সর্বাত্মক চেষ্টা।

হলিউড তারকা ডেমি মুর নিজের চেয়ে ১৬ বছরের ছোট অ্যাশটন কুচারকে বিয়ে করে বেশ ভালোভাবেই বেভারলি হিলসে সংসার করছেন। পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা বয়সে ১০ বছরের ছোট ব্রিটিশ পরিচালক গাই রিচির সঙ্গে ঘর করছেন মহানন্দে। সবার প্রিয় ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার তার চেয়ে ৭ বছরের বড় অঞ্জলিকে বিয়ে করে কাটিয়ে দিচ্ছেন দাম্পত্যের মোহময় দিনগুলি।

এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ছেলেরা আসলে যেকোনো মেয়ের মধ্যেই পরিণত মননের কাউকে খোঁজে। প্রেমিকা বড় হলে ব্যাপারটা আরো সহজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে পাওয়া যায় প্রেমিকা, স্ত্রী, পথ প্রদর্শক- সব কিছুই। আর এসবই টানছে এ প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের।

শুধু তাই নয়, মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন কস’রবা। সত্যজিৎ রায়ও বিজয়ার চেয়ে বয়সে ছোট। রাহুল দেব বর্মনও বয়সে তার চেয়ে বড় আশা ভোঁসলেকে বিয়ে করেছিলেন।

২৩সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে