এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে মানুষের দৈনিন্দন জীবন এসেছে পরিবর্তনের ছোয়া। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার জীবনকে করেছে স্বাছন্দ্যময়। বিজ্ঞানের তেমনি একটা চমক রোবট।
সম্প্রতি চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুশানে চালু হয়েছে রোবট পরিচালিত একটি রেস্টুরেন্ট। সেখানে খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে রান্নার কাজও করে এক দল রোবট। রোবট দিয়ে রেস্টুরেন্ট চালানোর পেছনের ঘটনাটিও বেশ রোমাঞ্চকর।
রেস্টুরেন্টের মালিক সঙ্গ ইউগ্যাঙ্গ জানান, তার মেয়ে গৃহস্থালির কাজ করতে পারে এমন রোবট আবিষ্কারের দাবি জানায় তার কাছে। মেয়ের দাবির প্রেক্ষিতেই ধীরে ধীরে গড়ে তার রোবট চালিত রেস্টুরেন্ট।
সঙ্গে’র রোবট ভিত্তিক রেস্টুরেন্টের প্রবেশ পথেই দেখা মিলবে দুটি রোবটের। খাটো আকৃতির এই রোবট দুটির দায়িত্ব আগত গ্রাহকদের অভ্যর্থনা জানানো। ভেতরে খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েছে আরো চারটি রোবট। ট্রেতে করে টেবিলে টেবিলে খাবার পৌঁছে দেয়াই তাদের কাজ। আর রান্না ঘরে দেখা মিলবে দুটো বড় আকৃতির রোবটের। আগত ভোজন রসিকদের রুচি অনুযায়ী আলাদা আলাদা পদ রান্নাই তাদের দায়িত্ব।
সঙ্গ জানান, রোবট চালিত তার এই রেস্টুরেন্টটি বেশ ব্যয় সাশ্রয়ী। যেখানে বছরে একজন কর্মচারীর পেছনে যেখানে বছরে সাড়ে ছয় হাজার ডলার খরচ হয়। সেখানে ওই মূল্যে একটি রোবট বানিয়ে ফেলা যায়। যার সাপ্তাহিক ছুটি লাগবে না বেতন বোনাস লাগবে না। খরচ বলতে শুধুমাত্র দু ঘণ্টার বৈদ্যুতিক চার্জ।
একবার চার্জ দিলে সঙ্গেরে রেস্টুরেন্টের রোবটগুলো টানা পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। দিনে প্রায় ৪০ টির মতো বাক্যের অর্থ বুঝতে সক্ষম প্রত্যেকটি রোবট। রান্নার কাজে নিযুক্ত রোবটির সীমিত পরিমাণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনে শ্রমের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাড়ছে রোবটের ব্যবহার। ইতোমধ্যে চীন রোবট ব্যবহারের ক্ষেত্রে জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে।
অভিনব বিষ্ময়কর এই রেস্টুরেন্টটিতে এসে ভোজন রসিকরাও বেশ উৎফুল্ল। রোবটের হাত নানা পদের খাবার গ্রহণের সময় বেশ আনন্দ পান তারা। ইউআন ইউআন বলেন, ‘আমি এর আগে কখনোই কোনো রোবটকে খাবার পরিবেশন করতে দেখিনি। আমি সত্যি অভিভূত।’ বড়দের মতো রোবট রেস্টুরেন্টে এসে শিশুরাও আনন্দিত। শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আসা এক মা বলেন, ‘আমার শিশুরা রোবটগুলো দেখে বেশ মজা পেয়েছে।’
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/