এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কি জ্বালা বলুন এই বার। একে মাথায় চুল কম বলে অফিসে কলিগরা ঠাট্টা করে, বাহিরে বন্ধুরা মজা করে, ঘরে বউ ঝাড়ি মারে, শ্যালিকা মাথায় হাত দিয়ে একটু খোঁচা মারে। এখন আবার বিজ্ঞান!
দৈনিন্দন জীবনে বিজ্ঞান কত অদ্ভুত অদ্ভুত তথ্য তুলে নিয়ে আসে। নতুন করে জানাল, মাথায় টাক যার, হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকিও নাকি তাঁর বেশি!
চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে, ধুমপান করা চলবে না, একটা বয়সের পর শুয়ে-বসে দিন কাটালে চলবে না, কায়িক পরিশ্রম করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে, হাঁটতে হবে নিয়মিত।
হৃদরোগ এড়াতে কত কথাই না বলে আসছেন চিকিৎসকরা। সবই ঠিক। সম্প্রতি জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে যা জানাচ্ছে সে অনুযায়ী এখন হয়ত ডাক্তাররা বলতে শুরু করবেন, ‘‘খবরদার, মাথায় টাক পড়তে দেবেন না যেন।
কারণ, টাক পড়লে যে আর রক্ষা নেই, মরতে হবে হৃদরোগে ভুগে।’’ টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকা এবং ইউরোপের ৪০ হাজার মানুষকে নিয়ে একটা গবেষণা চালিয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড মেটাবোলিক ডিজিজের গবেষণার ফলাফল বলছে, টেকো মাথার মানুষদের হৃদরোগ হয় বেশি।
ওই ৪০ হাজার মানুষ ১৯৯৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে কোনো না কোনো সময়ে জেনেছেন তাদের হৃদরোগ হয়েছে। তাদের নিয়ে কাজ করে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, টাকে থাকে মৃত্যুর ঝুঁকি৷ অবশ্য টাক মানেই বিপদ নয়।
মাথার ঠিক মাঝখানের বড় একটা অংশের চুল যদি পড়ে গিয়ে তেলতেলে হয়ে যায় তাহলেই বিপদ। আর বিপদের শঙ্কা থাকে বয়স তিরিশের বেশি হলেই! অতএব সাধু সাবধান।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/