রবিবার, ০৮ মে, ২০১৬, ০৪:১৮:০৫

ভারতের সেরা নিরাপত্তা বাহিনীগুলো কিছু গোপন তথ্য

ভারতের সেরা নিরাপত্তা বাহিনীগুলো কিছু গোপন তথ্য

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সীমান্ত সুরক্ষা হোক বা অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সব কিছুতেই তাঁরা রয়েছেন। শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করে দেশকে সর্বোতভাবে রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁদেরই। এক একটি দেশে এক এক রকম সমস্যা। তা সে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হোক, অভ্যন্তরীণ শত্রু— পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে নতুন নতুন সুরক্ষাবাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। এ দেশের সেরা সুরক্ষা বাহিনীদের সম্পর্কে জেনে নিন। খবর এবিপি’র।

মারকোস: ভারতীয় নৌসেনার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী মারকোস। সরকারি নাম ইন্ডিয়ান মেরিন স্পেশাল ফোর্স। ১৯৮৭-তে মারকোস বাহিনীর গঠন করা হয়। এর গঠনের মূল উদ্দেশ্য হল, জলে-স্থলে যে কোনও জায়গায় দ্রুত অ্যাকশনে নামা। এদের দাঁড়িওয়ালা বাহিনীও বলে। এই বাহিনীর ধারণ ক্ষমতা কত তা গোপন রাখা হয়।

গরুড়: বিশ্বের যে কোনও বিমানসেনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম ভারতীয় বায়ুসেনার গরুড় কম্যান্ডো ফোর্স। বিমানসেনার বিশেষ টাস্কের জন্য এই কম্যান্ডো বাহিনী তৈরি করা হয় ২০০৪-এর সেপ্টেম্বরে। পক্ষীরাজ গরুড়ের নাম অনুসারে এই বাহিনীর নাম। বর্তমানে গ্বালিয়রের মহারাজপুরা এয়ারফোর্স বেস সমেত ভারতের অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিমানসেনা বিমানঘাঁটিগুলির সুরক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে।

কোবরা: মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এই বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। পুরো নাম কমব্যাট ব্যাটেলিয়ন রেজলিউট অ্যাকশন (কোবরা)। মাওবাদীদের খতম করতেই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স গ্রেহাউন্ড-এর মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এদের। কোবরার সদরদপ্তর দিল্লিতে। তবে ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে কোবরা বাহিনী অনেক সক্রিয়।

স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি): ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় তার জন্য আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস থেকে প্রশিক্ষণ এদের দিয়ে তৈরি করা হয়।

সিআইএসএফ: পুরো নাম সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স। ১৯৮৩-র ১৫ জুন এই বাহিনীর গঠন করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স এটি। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র যেমন, পরমাণু কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, বন্দর, তেল শোধনাগারের মতো জায়গাগুলিকে রক্ষা করাই এদের কাজ। আধা সামরিক বাহিনীর ইউনিক অর্গানাইজেশন এটি।

সিআরপিএফ: ভারতের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র সুরক্ষা বাহিনী। ১৯৩৯-এর ২৭ জুলাই এই বাহিনীর গঠন করা হয়।
ভারতের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে শান্তি বজায় রাখা এবং নির্বাচনের সময় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
জম্মু-কাশ্মীর, বিহার এবং ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এরা খুব সক্রিয়।

এনএসজি: অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে এই বাহিনীর গঠন করা হয় ১৯৮৪-এ। ইন্দিরা গাঁন্ধীর হত্যার পর পরই এই বাহিনীর জন্ম হয়। এর মূল লক্ষ্য সর্বোত্তম সুরক্ষা। এনএসজি কর্মকর্তাদের ব্ল্যাক ক্যাট বলা হয়।

স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স: দালাই লামা ভারতে আসার তিন বছর পর ১৯৬২ সালে এই বাহিনীর গঠন করা হয়।
ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এসএফএফ বাহিনী গঠন করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। এই বাহিনীর জওয়ানরা বেশিরভাগই তিব্বতের। চিনের প্রতি নজর রাখতেই মূলত এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের সময় এই বাহিনী ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী(বিএসএফ): বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ক্ষমতাশালী সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। ১৯৬৫-র ১ ডিসেম্বর এই বাহিনীর গঠন করা হয়। জঙ্গি অনুপ্রবেশ, চোরা কারবারি রুখতে এবং শত্রুদের হাতে থেকে দেশকে বাঁচাতে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে এদের মোতায়েন করা হয়েছে।

৮ মে ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে