বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫২:৩৪

বাড়ির চেয়েও বেশি যেখানে কবরের জায়গার দাম!

বাড়ির চেয়েও বেশি যেখানে কবরের জায়গার দাম!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ১৯৭০’র দশকে নগররাষ্ট্র হংকংয়ে ভূমি সঙ্কটের কারণে স্থায়ী সমাধি নির্মাণের ওপর আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয়, সরকারি গোরস্তানগুলোকেও নির্দেশ দেয়া হয়, প্রতি ৬ বছর পরপর মাটি খুঁড়ে পুরনো দেহাবশেষ তুলে যেন নতুনদের জায়গা করে দেয়া হয়।

কিন্তু বর্তমানে সেখানে এতই সঙ্কট যে, ধনাঢ্যরাও স্থায়ী সমাধিক্ষেত্রের জন্য এক টুকরা জমির সংস্থান করতে হিমশিমে পড়তে হয়। চীনের বিশেষ প্রশাসনিক এই অঞ্চলে প্রতিবছর গড়ে ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়।

অবাক করা বিষয় হল, এক টুকরা স্থায়ী ‘চিরনিদ্রার স্থানের’ জন্য সেখানে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয় কয়েক বছর পরপর। শুধু তাই নয়, ‘সাড়ে তিন হাত জমির’ জন্য ইচ্ছুক প্রার্থীদের ধরতে হয় লটারি। তবে খুব কম ‘সৌভাগ্যবানই’ নিজের স্থায়ী সমাধিক্ষেত্র লাভ করেন।

স্থায়ী ‘চিরনিদ্রার স্থান’ পাওয়ার আরেকটি উপায় হলো, যদি হংকংয়ের কোনো নাগরিক চার্চের সদস্য হন এবং সেই চার্চের নিজস্ব সমাধিক্ষেত্র অবশিষ্ট থাকে। তবে চার্চের এই জায়গা পেতে হলেও একজনকে গুণতে হয় প্রায় ৩০ লাখ হংকং ডলার, যেখানে শহরটিতে একটি বিলাসবহুল বাড়ির জন্য খরচই পড়ে প্রতি বর্গমিটারে প্রায় দেড় লাখ হংকং ডলার।

এ বিষয়ে ‘হিউং ফক আন্ডারটেকার’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালক হই পং কউক বললেন, ‘আপনার কাছে যদি সারা পৃথিবীর অর্থও থাকে, তাহলেও আপনি হংকংয়ে শেষ বিশ্রামের একটু জায়গা কিনতে পারবেন না। সরকার শুধু জীবিতদের আবাসন সঙ্কট পূরণের কথাই চিন্তা করছে। তবে মৃতদের কথাও তাদের ভাবা উচিত।’

উপযুক্ত জায়গার অভাবে শহরজুড়ে প্রায় এক লাখ মৃতদেহ সংরক্ষণ করা আছে বলেও জানিয়েছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সেবাদানকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে