সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ০৮:০৩:২৩

২৭ রান ১০ বলে, বাংলাদেশের নাটকীয় জয়!

২৭ রান ১০ বলে, বাংলাদেশের নাটকীয় জয়!

স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তখন জয় অনেকটাই দূরে মনে হচ্ছিলো! তবে ১৯তম ওভারে সেটাকে সহজ করেন রাকিবুল হাসান। সেই ওভারে ৩ ছক্কায় ২০ রান তোলেন তিনি। ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ৭ রানে। ২ বল হাতে রেখেই সেই সমীকরণ মিলিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল আকবর আলির দল।

রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৪ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও জিশান আলম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫২ রান। ২৭ বলে ৩১ রান করে জিশান ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর তিন ও চারে নামা প্রীতম কুমার ও আরিফুল ইসলাম উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। উল্টো বেশ কিছু ডট বল খেলেছেন। যার প্রভাব পড়েছে রান রেটে।

মিডল অর্ডারে ব্যর্থ ছিলেন আহরার আমিন-মাহফুজুর রহমান রাব্বিরাও। এই দুজনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝেও এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রবিন। এই ওপেনার ভালো ব্যাটিং করলেও সাজঘরে ফিরেছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা সঙ্গী করে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৯ বলে ৮৭ রান।

রবিন ফেরার পর দলের হাল ধরেন আকবর আলি। অধিনায়ক যখন উইকেটে আসেন তখন রান রেট আর প্রয়োজনীয় রান রেটের মধ্যে পার্থক্য ছিল প্রায় ৫। উইকেটে এসেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গিয়ার পরিবর্তন করেন আকবর। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে পথে দেখান তিনি। যদিও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ২৪ বলে করেছেন ৪১ রান।

আকবরের পর একি মেজাজে ব্যাটিং করেছেন রাকিবুল। উইকেটে এসেই বড় শট খেলেছেন। তাতে সফল তিনি। ১০ বলে ৩ ছক্কায় করেছেন অপরাজিত ২৪ রান। রাকিবুলকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে অপরাজিত ২৪ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফ্রিকার শুরুটা ভালো হলেও এরপর হুট করে খেই হারায়। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। আহরার আমিনের জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল ম্যাচ। তবে এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন কনোর। দলীয় ১৩৩ রানে আবারও ভাঙে কনোর এবং এনড্রিলের জুটি। 

মূলত এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটারই দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। এক সময় মনে হচ্ছিল ২৫০ রানের পুঁজি পাবে দলটি। তবে শেষদিকে সেটিকে তিনশতে পরিণত করেছেন তিয়ান মিচায়েল এবং নকোবোনি। মিচায়েল খেলেছেন ১৫ বলে ২৬ রানের ক্যামিও।

বাংলাদেশের হয়ে বোলারদের শুরুটা ভালো হলেও শেষদিকে ছিল ছন্নছাড়া। দলের হয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রিপন মন্ডল, ৮৪ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া আহরার পিয়ান নিয়েছেন ২ উইকেট।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে