ফেনী : অপরূপ সৌন্দর্য্যে দৃষ্টি কাড়বে যে কারো। বিশ্বনন্দিত আগ্রার তাজমহলের আদলে নির্মিত। সাড়ে ১৭ হাজার মার্বেল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন তাজমহল বানিয়েছেন ফেনীর মোবারক হোসেন। ফেনী সরকারি কলেজের বিএসএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।
মোবারক হোসেন জানান, সাড়ে ১৭ হাজার রং-বেরংয়ের মার্বেল দিয়ে ২১টি মিনারবিশিষ্ট ৪ ফুট উচ্চতার তাজমহলটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ কাজে তার সময় লেগেছে প্রায় আড়াই বছর। এতে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তাজমহলের কাচের দেয়ালে সিলিকন গাম দিয়ে মার্বেল জোড়া লাগানো হয়েছে। বাবার জমানো টাকা ও নিজের টিউশনির আয় দিয়ে তিনি ব্যয় নির্বাহ করেন।
চার দরজাবিশিষ্ট তাজমহলই শেষ নয়, এর ভেতর রয়েছে ক্রিস্টাল পাথরের তৈরি পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, মার্বেলের তৈরি মিসরের পিরামিড, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, মানচিত্র ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
তাজমহলের ভেতরে সংযোগ দেয়া ৯টি ইলেকট্রিক বাতির আলো যখন জ্বালানো হয়, তা মনের ভেতর যেনো রেখাপাত করে যায়। এ দৃশ্যটি না দেখলে অনুভব করার মতো নয়।
মোবারক হোসেন জানান, এটিকে মানুষের সামনে ভিন্নভাবে তুলে ধরা ও মানুষকে আনন্দ দেয়া এবং নিত্যনতুন কিছু তৈরি করার চিন্তা থেকেই মার্বেলের এ শিল্পকর্ম। মার্বেল শুধু শিশুদের খেলনা নয়, এটি দিয়ে বিভিন্ন স্থাপনার শোভাবর্ধন, ওয়ালম্যাট তৈরি ও বিভিন্ন কারুকাজ করা যায়।
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন এ শিল্পকর্মটি দেখতে। এটি দেখেই তাদের চোখ জুড়াচ্ছে না, দীর্ঘ সময় ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন এর ভেতরের অংশ।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/