বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫৮:৪৩

সম্পর্ক মধুর করে তোলার ৬টি উপায়

সম্পর্ক মধুর করে তোলার ৬টি উপায়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রেম করছেন? ভাল কথা৷ করুন না৷ চিন্তার কি আছে? মাঝে মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে চেনা মানুষের সঙ্গে? এটা তো যে কোন সম্পর্কের মধ্যে হয়৷ আপনি ব্যতিক্রম নন। আপনি কি চিন্তিত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে? আপনার সঙ্গী আপনাকে যথেষ্ট সময় দেন না বলে মনে করেন? তাহলে সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এবার জেনে নিন কিছু টিপস৷ যাতে বুঝতে পারবেন আপনাদের সম্পর্কটি পারফেক্ট কিনা।

দু’জনের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে?
আপনার এবং আপনার সঙ্গীর সম্পর্কের মধ্যে স্বচ্ছতা আছে? মন খুলে নিজেদের ভাললাগা, খারাপ লাগার কথা দু’জনেই নিশ্চিন্তে বলতে পারেন একে অপরকে? যদি তা হয় তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন। সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা মানে আপনারা দু’জনে সঠিক নির্বাচন করেছেন এবং এখনও ঠিকভাবেই এগোচ্ছেন।

দু’জনের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা?
রোজ কথা হয় একে অপরের সঙ্গে? যদি নাও হয় নিজেদের স্বাভাবিক যোগাযোগ আছে দু’জনের মধ্যে। তাহলে আর সমস্যা কোথায়? একে অপরের মধ্যে যদি স্বাভাবিক সংযোগ ও কথাবার্তা হয়, তাহলে আপনাদের মধ্যে দূরত্বের কোন কারণই নেই এবং আপনারা একদম সঠিক অবস্থানে আছেন।

দু’জনেই স্বাধীন!
সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’জনেরই উচিত দু’জনকে স্বাধীনতা দেওয়া। কারও উপর কারও জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। কারণ দু’জনেরই ব্যক্তিগত জীবনের কিছু পছন্দ-অপছন্দ আছে। তাই সম্পর্ক ‘পারফেক্ট’ থাকার জন্য দু’জনেরই দু’জনকে ছাড় দেওয়া উচিত।

সম্পর্কে কোনও শর্ত নেই
আপনাদের দু’জনের সম্পর্ক কি কোন শর্তের উপর নির্ভর করে এগোচ্ছে? যদি আপনার সঙ্গী কোন কাজ করেছেন তাই আপনিও অন্য একটি কাজ করবেন, এই ধরনের শর্ত দিয়ে সম্পর্ক এগোন। তাহলে কিন্তু সম্পর্কটা ঠিক নেই মোটেই। আরে বাবা, প্রেমের সম্পর্ক কখনও কি কোন শর্তের উপর নির্ভর করে এগোয়? আর যদি এই ধরনের কোন শর্ত আপনাদের মধ্যে না থাকে, তাহলে তো ফার্স্ট ক্লাস, এইভাবেই চলুন দু’জনে।

বিশ্বাস
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস থাকা বাধ্যতামূলক। যে সম্পর্কে বিশ্বাস না থাকে সেই সম্পর্ক কোন দিনও সুখের হয় না। সম্পর্ক ‘পারফেক্ট’ হওয়ার জন্য দু’জনেরই দু’জনকে বিশ্বাস করাটা খুব জরুরি। তাই যে সম্পর্কে দু’জনের মধ্যে বিশ্বাসটা অনেক বেশি মজবুত সেটাই ‘পারফেক্ট’ সম্পর্ক।

তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ
মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হয় পছন্দের মানুষটার সঙ্গে। কিন্তু সেই ঝামেলার কথা কি তারপর অন্য কাউকে বলে বেরান? যদি সেটা করেন তাহলে এক্ষুনি বন্ধ করে দিন। দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ একেবারেই ঠিক লক্ষণ নয়। নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা দু’জনে একসঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিন, তার মধ্যে ‘থার্ড পার্সন’কে ঢুকতে দেওয়ার কোন দরকার নেই।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে