এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আবদুস সালাম (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে ‘মৃত’ সাজিয়ে ২০০১ সালে আদালতে সার্টিফিকেট দাখিল করা হয়। সার্টিফিকেট দাখিলের পর তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা দু’টি মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আর সেই ‘মৃত’ আবদুস সালাম ১৩ বছর পর জীবিত অবস্থায় ধরা পড়লেন গোয়েন্দা পুলিশের কাছে।
জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ২০০১ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জিআর ৫৩/৯৯ ও জিআর ৯১/৯৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০০১ সালের ২৫ মে সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ইসমাইল মিয়ার আদালতে মামলা দু’টি বিচারাধীন অবস্থায় সালামের আইনজীবী আদালতে সালাম ‘মৃত্যুবরণ’ করেছেন মর্মে সার্টিফিকেট দাখিল করেন। দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই ডেড সার্টিফিকেট আদালত আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে।
থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তাহের তদন্ত করে ‘সালাম মৃত্যুবরণ করেছেন’ মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ওই মামলা দু’টি খারিজ হয়ে যায়।
ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে আবদুস। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় পুলিশ প্রশাসনেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিলেট পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনার নির্দেশনায়, ডিবি (জেলা) পুলিশের ইন্সপেক্টর ইউনুছ মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ডিবির এসআই ফরেশ ও মাসুদের নেতৃত্বে রোববার বিকেলে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। আর এই অভিযানেই দুবাগ ইউপি অফিসের সামনে থেকে ধরা পড়েন ‘মৃত’ আবদুস সালাম।
গ্রেপ্তারের পর ডিবি পুলিশ আবদুস সালাম নিয়ে আসে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। বর্তমানে তাকে পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে চালান করা হবে।
এ বিষয়টি ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ইউনুছ মিয়া বলেছেন, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। সোমবার সালামকে আদালতে চালান করা হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/