বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬, ০৫:৩০:৩১

এই পাঁচটি গুজব কাঁপিয়ে দিয়েছিল পৃথিবী, শুনলে চমকে যাবেন!

এই পাঁচটি গুজব কাঁপিয়ে দিয়েছিল পৃথিবী, শুনলে চমকে যাবেন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কথায় আছে- গুজবে কান দেবেন না।  কিন্তু এমন পাঁচটি গুজব ছড়িয়েছিল যা পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।

জনগণ সেই সব রটনাকে ঘটনা বলে ধরে নিয়ে এমন গোলমেলে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যে, তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকে।

এসব গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়েও পড়ে।  যারা এই গুজব-প্রবাহ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে চান তারাও এক সময়ে ব্যর্থ হন সেই বন্যা থেকে বাঁচতে।

বাঁধ ভেঙে গুজব গ্রাস করে শহর-বন্দর-গ্রাম-প্রান্তরে। এক সময়ে তুঙ্গে ওঠা গুজব কিছুদিন পরেই বিস্মৃতির অতলে চলে যায়।  তার উপরে পলি পড়ে নতুন গুজবের।  

আবার তাকে সরিয়ে জায়গা করে নেয় নতুনতর গুজব।  এমন বহু গুজব আছে, যারা রীতিমতো সমস্যায় ফেলেছিল মিডিয়াকে।

জনগণ সেই সব রটনাকে ঘটনা বলে ধরে নিয়ে এমন গোলমেলে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, যা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।  তেমন পাঁচটি ‘মহাগুজব’-এর কথাই রইল-

• ২০১৫-এর ২৪ জুলাই ব্রিটেনের ‘ডেলি এক্সপ্রেস’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  এতে বলা হয়, একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ব্রিটেনের স্কুলগুলোতে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার উঠে যেতে বসেছে।  ইমিগ্রেশনকেই এর জন্য দায়ী করা হয়।  এ ‘খবর’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট।  

পরে দেখা যায়, ওই সমীক্ষায় উল্লিখিত পরিসংখ্যানগুলিকে এদিক-ওদিক করা হয়েছিল। দু’টি ভাষা বলতে পারে এমন স্কুলছাত্রদের ইংরেজি জানে না বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র জাতিবিদ্বেষ মাথা চাড়া দেয়, যা সামলাতে দম বেরিয়ে যায় প্রশাসনের।

• মাইকেল জ্যাকসন বেঁচে আছেন— এমন একটা গুজব ছড়ায় ২০১৫ সালের দিকে।  একটি ফেক ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে জানানো হয়, মাইকেলকে বহাল তবিয়তে প্যারিসের রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেছে।  সোশ্যাল মিডিয়াবাজরা ঝাঁপিয়ে পড়েন এই ভিডিওটি নিয়ে।

তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। মাইকেল-ফ্যানবৃন্দ হাপুস নয়নে পোস্ট করতে থাকেন তাঁদের আইডলকে স্টেজে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই জানা যায় ভিডিওটি ‘ফেক’। যাবতীয় আবেগ লহমায় নিভে যায়।  

• ২০১৪-এ মার্কিন কমেডিয়ান জোয়ান রিভারস এক অতি খাজা কমেডি শো-তে ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাকে ‘রূপান্তরকামী’ বলে বসেন।  এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে রিভারস ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রূপান্তরকামীরা সুন্দর মানুষ।  এতে অপমানের কী রয়েছে?

রিভারসের এই রসিকতাকে সত্যি ধরে নিয়ে গুজব ছড়ায় দাবানলের মতো।  অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন মিশেল তার সেই আইডেন্টিটি গোপন রাখেন।  চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এ গুজবকে ঘিরে।

• মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্পর্কে প্রায়শই যে গুজবটি মাথা চাড়া দেয়, সেটি তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে।  তার মধ্যানাম ‘হুসেন’-এর কারণেই গুজবটি রটে।  ইসলামিক টেররিজমের সূত্র ধরে ওবামার নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন দেশের সাধারণ মানুষ।  পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আজো ২০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক আর ৩১ শতাংশ রিপাবলিকান বিশ্বাস করেন, ওবামা ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

• ভারতের সবথেকে বড় গুজব সম্ভবত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ঘিরে।  অন্যকিছু নয়, তার ‘প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে এত বেশি গুজব রটেছে যে, তাকে গুজবের বিশ্ব রেকর্ডের তালিকার উপরের দিকেই রাখা যায়।  ভারতীয়রা জানেন এ গুজবের মাহাত্ম্য।
২৬ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে