রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬, ১০:১৬:২১

জানলে অবাক হবেন, মায়ের গর্ভে যেসব আজব কাণ্ড করে বাচ্চারা!

জানলে অবাক হবেন, মায়ের গর্ভে যেসব আজব কাণ্ড করে বাচ্চারা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : একটু-একটু করে মায়ের গর্ভে বড় হতে থাকে সন্তান। মা হওয়ার প্রথম অনুভূতি, বাচ্চাকে নিজের গর্ভে প্রথম অনুভব, এসব একজন হবু মায়ের কাছে স্মরণীয় হয়ে থেকে যায় চিরকাল। প্রত্যেক মেয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওনা মা হওয়া। দশ মাস, দশ দিন গর্ভে সন্তানকে ধারণ করা। প্রথম কবে লাথি মেরেছিল, কবে কখন পেটের মধ্যে নড়াচড়া করেছিল, মায়ের স্মৃতির খাতায় রয়ে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন বাচ্চারা পেটের ভিতর কী করে? শুধু যে ওজন বাড়ে আর বড় হয় তা কিন্তু নয়, ওরা অনেক কিছুই করে। সে সব আজব কাণ্ড। শুনলে অবাক হবেন আপনিও। অবাক কাণ্ড হলেও বাচ্চারা এইসব করে থাকে মায়ের গর্ভে -

ওরা কাঁদে : এটা শুনলে হয়তো আপনার মন খারাপ হয়ে যাবে। কিন্তু ডিজিটাল আলট্রাসাউন্ড দিয়ে পরীক্ষায় এমনটাই দেখা গেছে। চোখ, ঠোঁট কুঁচকে বাচ্চারা নাকি কান্নাকাটি করে মায়ের গর্ভে। এমনকী, চোখ দিয়ে পানিও পড়তে থাকে। কী অবাক কাণ্ড!

ওরা সব মনে রাখে : পেটে পেটে এত বুদ্ধি! কথাটা কী তবে এখান থেকেই এসেছে! না, মায়ের গর্ভে থাকলে কী হবে, বাচ্চা সব মনে রাখে। হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির এক পরীক্ষা এমনটাই বেরিয়ে এসেছে। বিশেষ কোনো গান বা ছড়া শুনে বাচ্চার মস্তিষ্ক সাড়া দেয়। এমনকী, সেই গান বা ছড়াটি জন্মের পরেও শুনতে ভালোবাসে সেই বাচ্চা। অর্জুন পুত্র অভিমন্যুও মায়ের পেটে থাকাকালীনই চক্রব্যূহ সমাধানের অর্ধেক উপায় জেনে গিয়েছিল।

ওরা খাবারের স্বাদ নেয় : পেডিয়াট্রিকদের একটি পরীক্ষায় দেখা যায়, বাচ্চারা মায়ের গর্ভে নাকি খাবার চেখে দেখে। তবে সরাসরি নয়। মা যে খাবার খান, সেখান থেকেই খাবারের স্বাদ বুঝতে শেখে। যেসব মায়েরা তিনমাস গর্ভাবস্থায় গাজর খেতে ভালোবাসেন, জন্মের পর সেইসব বাচ্চারা নাকি শাক-সবজি খেতে বেশি ভালোবাসে।

ওরা আপনার কথাও শোনে : গর্ভে থাকলে কী হবে, আড়ি পেতে সব কথাই শোনে ছোট্ট সোনাটি। ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে মা কথা বলছে, গর্ভের সন্তান তা মন দিয়ে শোনে। তবে শুধু মায়ের কথাই নয়, অন্যান্য শব্দও শোনে আড়ি পেতে।

মানসিক চাপ ওদের বিরক্ত করে : এইজন্যই গর্ভাবস্থায় মাকে বিশ্রাম নিতে বলা হয়। যাতে মানসিক কোনো চাপ না পড়ে। সে বিষয়ে খেয়াল রাখে পুরোবাড়ির লোক। ল্যানচেস্টার ও দুরহাম ইউনিভার্সিটির দুটি পরীক্ষায় দেখা যায়, মায়ের মানসিক চিন্তা, বিশেষ করে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা গর্ভের সন্তানকে উত্তেজিত করে। তখন ওরা নাকি বাঁ হাত দিয়ে নিজেদের মুখ ডেকে নেয়! গর্ভের সন্তানকে এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে বিশ্রাম ও হাসিখুশি রাখা দরকার।

ওরাও আবেগ প্রকাশ করে : ল্যানচেস্টার ও দুরহাম ইউনিভার্সিটির পরীক্ষায় এও দেখা গেছে, ২৪ সপ্তাহের পর বাচ্চা প্রথম হাসে। গর্ভাবস্থার ৩৬ সপ্তাহে বাচ্চারা নাকি চোখ পিটপিট করে।-ইন্দুইন্ডিয়া
২৯ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে