বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৫৩:১৪

ইট-মাটি-নুড়ি খেয়েই জীবন যার!

ইট-মাটি-নুড়ি খেয়েই জীবন যার!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কত রকম মানুষই না দুনিয়ায়। একেকজনের একেক রকম পছন্দ। তবে খাদ্যের তালিকায় মাটি কিংবা পাথর রেখেছে কেউ তা অজানারই কথা।

এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের বাসিন্দা পাক্কিরাপ্পা হুনাগুন্দির বেলায়। বয়স তার ৩০। ১০ বছর বয়স থেকেই ইট, মাটি আর নুড়ি পাথর খাওয়ার অভ্যাস করেন। সেই থেকেই যে শুরু তা আজও বিদ্যমান।

জীবনের ২০টি বছর এ অখাদ্যই খেয়ে যাচ্ছেন পাক্কিরাপ্পা। প্রতিদিন তিনি প্রায় তিন কিলো ইট, মাটি ও নুড়ি পাথর খান। এতে তার কোনো সমস্যাই হয় না বলে দাবি করেছেন পাক্কিরাপ্পা। সূত্র : ডেইলি মেইল

তবে চিকিৎসকরা এটাকে একটা রোগ বলেই সাব্যস্ত করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা এমন একটা রোগ শুধুমাত্র অখাদ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয়।

পাক্কিরাপ্পা বলেন, আমি বিশ বছর ধরে ইট, মাটি ও নুড়ি পাথর খেয়ে যাচ্ছি। এসব খেতে আমার ভালোলাগে। এটা এখন আমার জীবন ধারণের একটা অংশ।

তিনি বলেন, ১০ বছর বয়স থেকে আমি এসব খেয়ে যাচ্ছি। আমি ভাত না হলেও চলবে কিন্তু ইট, মাটি ও নুড়ি পাথর ছাড়া থাকতে পারবো না। আমার কোনো অসুখ নেই। দাঁতও খুব ভালো আছে। যেকোনো শক্ত জিনিসে কামড় দিতে অসুবিধে হয় না।

পাক্কিরাপ্পার মা গত ২০ বছর ধরে ছেলেকে এসব খেতে নিষেধ করলেও বিরত রাখতে পারেননি।

পাক্কিরাপ্পার মতে, ইট আমার কাছে অমৃতের মত লাগে। ভালো না লাগলে কি আমি এসব খাই। আমার মা জোর করে চিকেন ফ্রাই খেতে দেন, তা আমার ভালো লাগে না। আমি চাই ইট, মাটি আর নুড়ি পাথর।

পাক্কিরাপ্পাদের গ্রামেরই একজন বলেন, আমি পাক্কিরাপ্পাকে ছোটোবেলা থেকেই চিনি। একটা ছোটো পাথর খেলেই আমাদের যে সমস্যা হয়, সেখানে পাক্কিরাপ্পা প্রতিদিন পাথর খেয়েই যাচ্ছে।

পাক্কিরাপ্পার এক বন্ধু বলেন, সে এসব খেয়ে বিখ্যাত হয়ে উঠছে। তার এসব খেতে দেখে আমাদের খারাপ লাগে। আমরা চাই, তার সঠিক চিকিৎসা। সে খুবই গরিব মানুষ। কেউ এগিয়ে এসে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে কোনোদিন সে করাবে না।

পাক্কিরাপ্পা একজন দিনমজুর। গ্রামে কাজ করেই সংসার চালায়। সে পুরো দেশ ঘুরে তার এই কৃতিত্ব দেখাতে চায়।
২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস
 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে