সৌরভ খান, এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: পৃথিবীর সব রহস্য ও বৈচিত্র্যতা শুধু বাইরের দেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়, আমাদের দেশেও এমন কিছু রহস্য রয়েছে যা মানুষকে মুহূর্তেই অবাক করে দেয়। আর তেমনই একটি রহস্য গোপালগঞ্জের কাসিয়ানী উপজেলার হেরণ্যকান্দি গ্রামের অদ্ভুত একটি আমগাছ।
গা ছমছম করে উঠার মতো বিশাল-সুবিস্তৃত এই আমগাছটির বয়স কতো তা সঠিকভাবে কারোরই জানা নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে গাছটির বর্তমান মালিকের নাম বাচ্চু শেখ। তার ভাষ্যমতে, গাছটির সঠিক বয়স তার বাবার দাদাও বলে যেতে পারেননি। তবে ধারণা করা হয়, গাছটির বয়স চার থেকে পাঁচশত বছর।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এ গাছটিকে ঘিরে রয়েছে নানা ধরণের ভূতুড়ে কর্মকাণ্ড। জানা যায়, গভীর রাতে এই গাছটিতে শোনা যেতো বিকট সব শব্দ। এমনকি কোনো ঝড়-বাদল ছাড়াই গাছটির ডাল ভেঙে পড়ার আওয়াজও কানে আসতো স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আবার অনেকেই দাবি করেন, মাঝরাতে তারা এই আমগাছটির উপরিভাগে আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পান। তাই এতো এতো ঘটনার পর হয়তো গাছটির মালিক নিজেও চাচ্ছিলেন না, অদ্ভুত এই গাছটি টিকে থাকুক।
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গাছটি কেটে ফেলার। কিন্তু সে রাতেই গাছটির মালিক স্বপ্ন দেখতে পান, কেউ একজন তাকে গাছটি কেটে ফেলতে নিষেধ করছেন এবং স্বপ্নেই তাকে বলা হয়, গাছটি কেটে ফেললে তার ক্ষতি হবে।
পরবর্তীতে গাছটি আর কাটা হয়নি। এখনও সবার মাঝে এক বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেই গাছটি। কৌতূহলী অনেক পর্যটকদেরও আনাগোনা হয় এখানে। এছাড়া মাটি স্পর্শ করা বাঁকানো ডালগুলো বেয়ে সহজেই গাছটির উপরে উঠে যেতে পারে পর্যটকরা। তাই স্মৃতি ধরে রাখতে গাছটির গায়ে অনেকেই তার ভালোবাসার মানুষটির নামের একটি বর্ণ কিংবা চিহ্ন রেখে যান বলেও জানা যায়।