এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নারীর কেশে কতই না সুন্দর্য। সেই সুন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কতজনে কত কবিতা-গান-ই না লিখেছেন। কিন্তু নারীর কেশে মুগ্ধ হয়ে কোনো পশু-প্রাণীর লুকিয়ে থাকার কথা কারো জানা আছে বলে মনে হয় না।
এমনই ঘটনা ঘটেছে জিম্বাবুয়ে। ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীর চুলে লুকিয়ে আছে তাদের পোষা কাঁঠবিড়ালি। আবে পুত্তেরিল নামের ওই তরুণীর চুলের অরণ্যে লুকিয়ে থাকা কাঁঠবিড়ালিকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে।
মেয়েরা নিজেকে আরো আকর্ষণীয় করতে খোঁপায় গোলাপ বা অন্য কোনো ফুল গুজে রাখে। এটা সবারই জানা। কিন্তু আস্ত একখানা কাঁঠবিড়ালিকে খোঁপায় আটকে রাখার অবাক হবারই কথা।
আবেদের বাড়ি জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারের এক এলাকায়। তাদের বাড়িতে রয়েছে আস্ত একটি বন্যপশু আশ্রয়কেন্দ্র। এটির দেখাশোনা করে তার বাবা গর্ডেন এবং মা ডেবে পুত্তেরিল।
কোনা এক শীতের রাতে তারা ওই আশ্রয়কেন্দ্রের মেঝেতে ক্ষুদে কাঁঠবিড়ালিটিকে খুঁজে পান। তখন শীতে কাঁপছিল প্রাণীটি। পরে তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। কাঁঠবিড়ালি হামির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে আবের।
গত দু’মাস আগে চঞ্চল কাঁঠবিড়ালি হঠাৎ আবের বেনুনী বেয়ে মাথায় উঠে যায়। এরপর থেকেই সেখানে বসবাস করছে সে। আবে কাঁঠবিড়ালিটির সুবিধার্থে চুলগুলোকে পিছনে ফিরিয়ে এনে হালকা আটকে রাখে। এতে করে কাঁঠবিড়ালি আরামে চুলের মধ্যে ঘুরে ফিরে বেড়াতে পারে।
হামি আবের চুলের জঙ্গলেই মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়। ঘুমের সসয় আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
আবের মা বলেন, আবের চুলে খুব আরামে আছে ও। বেড়েও উঠছে খুব তাড়াতড়ি। আমরা যখন ওকে প্রথম দেখি তখন ও আশ্রয়কেন্দ্রের কঠিন মেঝেতে গুটিশুটি মেরে পড়েছিল। আমরা যদি ওকে বাড়িতে নিয়ে না আসতাম এতোদিনে হয়তো মরেই যেত। কারণ ও ছিল তখন দশ দিনের শিশু। ও এখন পরিবারের একজন সদস্য হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ও একদিন খেলা করছিল আবের সঙ্গে। খেলতে খেলতেই আবের বেনুনি বেয়ে মাথায় ওঠে যায়। সেই থেকে সেখানেই আছে। গত দু’মাস ধরে আবের চুলেই বাসা বেঁধেছে।
আবের ঘন চুলে কাঁঠবিড়ালির এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই খুব মজা পায়। আবের চুলেঢাকা মাথাটা এখন ওর প্রিয় আবাস। হামির জন্য এতো চমৎকার একটি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারায় আবেরও খুব খুশি। সূত্র : মেইল অনলাইন