শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩০:১৫

জাহাজডুবির ৭২ ঘণ্টা পরও জীবিত!

জাহাজডুবির ৭২ ঘণ্টা পরও জীবিত!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজডুবির ৭২ ঘণ্টা পরও পানির নিচ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে জীবিত ফিরলেন নাইজেরিয়ার এক যুবক হ্যারিসন ওদজেগবা ওকেনো। তার এই জীবন ফিরে পাওয়ায় আবারও সত্যতার প্রমাণ মিলল ‘রাখে আল্লাহ মারে কে?’ প্রবাদটি।    

জানা যায়, নাইজেরিয়ার হ্যারিসন পেশায় একজন রাঁধুনি। কাজ করতেন জাহাজে। হঠাৎই একদিন অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় জাহাজটি। জাহাজ থেকে বের হতে পারেননি হ্যারিসন। সেই সময় জাহাজের শৌচাগারে ছিলেন তিনি।

সৌভাগ্যবশত, পুরো জাহাজটি আটলান্টিক মহাসাগরের পানির নিচে চলে গেলেও পানি ঢোকেনি শৌচাগারে। ফলে সেখানে তৈরি হয় ছোট একটি এয়ার পকেট। কিছুটা বাতাস পান হ্যারিসন। সেই এয়ার পকেটে থাকা অক্সিজেনের সাহায্যেই টানা তিন দিন অ্যাটলান্টিকের গভীরে কাটিয়ে দেন ওকেনো।

এর তিন দিন পর উদ্ধারে নামেন ডুবুরিরা। মৃতদেহ ভেবেই ওকেনোর হাত ধরে তাকে তুলতে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্য টনি ওয়াকার। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে দেখা যায় বেঁচে আছেন ওকেনো। গত মে মাসের ঘটনা এটি। এ ঘটনার ছয় মাস পর ইউটিউবে আপলোড কারা হয়েছে উদ্ধারের ছবি। এরপরই রীতিমতো শিরোনামে ওকেনো। ইউটিউবের সেই ভিডিও দেখে ওকেনোকে নিয়ে পড়ে যায় হইচই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উদ্ধারকারী টনি ওয়াকার বলেন, অ্যাটলান্টিকের মতো গভীর মহাসাগরের এতো ঠাণ্ডায় ওকেনো যে বেঁচে ছিলেন এটাই অবিশ্বাস্য। তাপমাত্রা যেখানে হিমাঙ্কের বহু নিচে সেখানে এই তিন দিন শুধুমাত্র একটি হাফপ্যান্ট পড়ে কাটিয়ে দিয়েছেন ওকেনো।

উদ্ধারকারীদের মতে, আরও দেরি হলে হয়তো আর বাঁচানোই যেতো না ওকেনোকে। কারণ এরই মধ্যে অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছিল এয়ার পকেটে।

ওকেনো তার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, চারিদিকে শুধুই অন্ধকার ছিল। যখন হাঙর ও অন্যান্য মাছের আওয়াজ শুনতম, ভয়ে গা শিউরে উঠতো।

নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়া ওকেনো বলেন, সত্যিই এটি তার জীবনে ঘটে যাওয়া মিরাকেল।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে