সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৪১:০৭

হোয়াইট হাউসকেও হার মানাবে সিলেটের যে বাড়িটি!

হোয়াইট হাউসকেও হার মানাবে সিলেটের যে বাড়িটি!

সিলেট : একবার না দেখলে বিশ্বাস হবে না।  সেই বাড়িতে চোখ পড়লে ফেরানো দায়।  প্রথম দেখাতেই চোখ জুড়াবে হোয়াইট হাউস আদলে বাড়িটির।
 

কাজী প্যালেস দেখলে তার প্রতিচ্ছবি মনের মধ্যে ভাসবে সারাক্ষণ।  যেন রাজপ্রাসাদ! হোয়াইট হাউস, বাকিংহাম প্যালেসকেও হার মানিয়েছে বাড়িটি।

সিলেটের ইসলামপুরে কাজী প্যালেসের অবস্থান। এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, আল হারমাইন গ্রুপের কর্ণধার মাহতাবুর রহমান নাসির প্যালেসটির কর্নধার।

প্রায় ৮ একর জায়গাজুড়ে তিনতলা বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে।  বাড়িটির বিল্ডিং জোন হচ্ছে প্রায় ৮০ হাজার বর্গফুট।  কি নেই সেই বাড়িতে?

বিশ্বের ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে বাড়িতে রয়েছে ২৯টি বিলাসবহুল ‘মাস্টার বেড’। বাড়ির ছাদে রয়েছে হেলিপ্যাড, আছে বিশালাকারের সুইমিংপুল, স্টিম বাথ, দুটি লিফট, অত্যাধুনিক স্নানাগার, বিশাল পার্কিং জোনসহ চোখ ধাঁধানো অনেক কিছুই।

বাড়িটিতে রয়েছে ৫ হাজার মানুষের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজনের সুবিধা।  পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।  বাড়িটির নিচতলাতেই রয়েছে ৯টি ডাইনিং।

ইতালির আভিজাত্যের ওয়ান প্লেট মার্বেলের আধিক্যে তৈরি বাড়িটি।  সৌদি আরবের ওয়াকফ মিনিস্ট্রি থেকে উপহার পাওয়া পবিত্র কাবা শরিফের দরজার রেপ্লিকা বাড়িটিতে সযত্নে রেখেছেন মাহতাবুর রহমান নাসির।

২০০৮ সালে শুরু হয় বাড়িটির নির্মাণকাজ।  বাড়ি নির্মাণে সিংহভাগ উপকরণ আনা হয় বিভিন্ন দেশ থেকে।  জার্মানি, দুবাই, ফ্রান্স ও লেবাননের প্রকৌশলীরা ছিলেন পুরো বাড়ি নির্মাণের তত্ত্বাবধানে।

তাদের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াইশ' শ্রমিক একটানা প্রায় ৮ বছর কাজ করেন বাড়িটি নির্মাণে।

বাড়ির ভেতর-বাইরে ইন্টেরিয়র ডিজাইন, অসাধারণ কারুকার্য, চোখ ধাঁধানো আভিজাত্য- সব মিলিয়ে বাড়িটিকে দেখলে মনে হয় কোনো রাজার বিলাসী রাজপ্রাসাদ!

বাড়িটির চেয়ার, টেবিল, সোফা, খাট, ঝাড়বাতি, আনুষঙ্গিক সব জিনিসপত্রই রাজা-বাদশাহদের আমলের মতোই বিলাসবহুল ও নান্দনিক।

২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপির মর্যাদা পান বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহতাবুর রহমান নাসির।  

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, লোক দেখানোর কোনো বিষয় এর সঙ্গে জড়িত নয়।  আমাদের একান্নবর্তী পরিবার।  বিশাল পরিবারের সবাইকে একই ছাদের নিচে আসতেই বাড়িটি নির্মাণ করা।

শৌখিন এ শিল্পপতি বলেন, পুরো বাড়ি নির্মাণে ব্যয়ের হিসাব রাখেননি  তিনি।  অপূর্ব নান্দনিকতায় বাড়িটি নির্মাণ করেছেন তিনি।  তবে এর ব্যয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।  এমন ধারণাই দিয়েছেন তিনি।
১৮ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে