বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬, ০৩:১১:৩১

খবরের কাগজ বিক্রেতা থেকে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও দেশের রাষ্ট্রপতি

খবরের কাগজ বিক্রেতা থেকে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও দেশের রাষ্ট্রপতি

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ২৭ জুলাই ২০১৫। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিলং-এ এসেছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বক্তৃতা দিতে দিতেই মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ভারতের মিসাইল ম্যানের। গতকাল ছিল তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এক নজরে দেখে নেওয়া তার জীবনের কিছু জানা অজানা কথা।

১৯৩১ সালে‌র ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্ম। পরিবারকে সাহায্যের জন্য ছোটবেলায় খবরের কাগজ বিক্রি করতেন তিনি।

অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যা ছিল তার সবচেয়ে পছন্দের বিষয়। পরবর্তী কালে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের হাত ধরেই ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনেন তিনি। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনার জন্য তাকে ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’ নাম দেওয়া হয়।

১৯৯৮ সালে তার হাত ধরেই পোখরানে সফল পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরীক্ষা করে ভারত। ইসরোয় ভারতের প্রথম স্পেস লঞ্চ ভেহিকলের প্রধান কারিগর ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ, ১৯৯০ সালে পদ্ম বিভূষণ এবং ১৯৯৭ সালে ভারতরত্ন পান এই প্রখ্যাত বিজ্ঞানী।

দেশ, বিদেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছেন তিনি। তার আত্মজীবনী প্রথমে ইংরাজিতে প্রকাশিত হয়। এর পর ফরাসি এবং চাইনিজ-সহ মোট ১৩টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।

২০০২ সালের ২৫ জুলাই ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। তার জীবনী নিয়ে ২০১১ সালে ‘আই অ্যাম কালাম’ নামে একটি সিনেমাও হয়েছিল।

নিজের একটি টেলিভিশন সেটও ছিল না প্রখ্যাত এই বিজ্ঞানীর। তার সম্পত্তি বলতে ছিল কিছু জামা কাপড়, একটি সিডি প্লেয়ার, একটি বীণা এবং একটি ল্যাপটপ। আর ছিল প্রচুর বই। প্রতি দিন সকাল ৬:৩০ তে ঘুম থেকে উঠতেন তিনি। ঘুমোতে যেতেন রাত ২ টায়। এটাই ছিল তার রুটিন।

২৮ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে