মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট, ২০১৬, ০৯:৩৭:৪৮

যদি জীবনে সুখী হতে চান, তাহলে শিশুদের দেখে এই ৬টি জিনিস শিখে নিন

যদি জীবনে সুখী হতে চান, তাহলে শিশুদের দেখে এই ৬টি জিনিস শিখে নিন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: শিরোনাম দেখেই ভুরু কুঁচকে গেল? এমনটা হলে আপনাকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। এটাই তো নিয়ম—ছোটরা শিখবে বড়দের কাছ থেকে। মজার বিষয় হলো, জীবনে সুখী হতে চাইলে শিশুরাই হতে পারে আপনার ‘বড় গুরু’! শিশুরা প্রতিদিন ছয়টি কাজ করে, যেগুলো থেকে পেতে পারেন সেই মহামূল্যবান সূত্র, সুখী হওয়ার উপায়!

.১. শিশুরা প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করে
বড়দের কাছে ঘড়ির কাঁটা খরগোশের মতো। আর শিশুদের কাছে ধীরগতির কচ্ছপ। ফলে, বড়রা সহজেই হাঁপিয়ে ওঠেন; সংসার-কর্মস্থল-কোথাও ভালো লাগে না। এবং এ কারণে বর্তমান সময়ে মনযোগ কেন্দ্রীভূত করতে মেডিটেশনও করতে হয়। শিশুরা আবার উল্টো, প্রতিটা মুহূর্তই তাদের কাছে নতুন। যা দেখে তাতেই বিস্ময় খুঁজে পায় তারা।

.২. শিশুরা চাহিদার কথা সরাসরি বলে
হয়তো বিস্কুট খেতে ইচ্ছা করল, কিংবা একটা বল দরকার, শিশুরা কোনো চাহিদাই লুকিয়ে রাখে না। হয় তারা প্রথমে সেটা বড়দের কাছে চাইবে, আর নয়তো নিজেরাই চাহিদা পূরণে উদ্যোগী হবে। অর্থাৎ, চাহিদার ব্যাপারে কোনো লুকোছাপা নেই শিশুদের মধ্যে, যা বড়দের মধ্যে প্রকট।

.৩. শিশুরাও ছুটি নেয়
শিশুরা কি চাকরি করে যে ছুটি নেবে? হ্যাঁ, শিশুরাও কাজ করে। তাদের কত কাজ! এই হয়তো খেলনা গাড়িটা বেশ সাফল্যের সঙ্গে ভেঙে ফেলল, কিংবা বালিশটার সঙ্গে হয়ে গেল জবরদস্ত লড়াই! এ রকম আরও কতশত কাজ যে থাকে তাদের! এতে পরিশ্রম কিন্তু কম নয়! আর কঠোর পরিশ্রম শেষে তারা ছুটিও নেয়। ছুটির জন্য দরখাস্ত দেওয়ার বালাই নেই, তাই নিজেরাই ঠিক করে ফেলে ছুটিটা কীভাবে কাটাবে। অধিকাংশ সময়ই ছুটির সময়ে তারা বাইরে বেরোতে চায়, খেলতে চায় খোলা মাঠে। গবেষণায় দেখা গেছে, কাজের ফাঁকে ছোটখাটো বিরতি মানুষকে আরও উৎপাদনশীল করে তোলে।

.৪. শিশুরা কাঁদতে ভয় পায় না
গবেষকেরা দেখেছেন, নেতিবাচক আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নেতিবাচক অনুভূতি দমন করলে মানসিক চাপ বাড়তেই থাকে। শিশুরা যেকোনো ধরনের নেতিবাচক অনুভূতি প্রকাশের জন্য কান্নাটাই বেছে নেয়। ফলে, এক কান্নাতেই ধুয়েমুছে যায় সব কষ্ট।

.৫. শিশুরা যথেষ্ট মাত্রায় বিশ্রাম নেয়
অনেক সময় ছোটরা দুপুরে ঘুমাতে চায় না। এ নিয়ে কত দুশ্চিন্তা বড়দের! অথচ ছোটরা কিন্তু ঠিকই যথেষ্ট মাত্রায় ঘুমিয়ে নেয়। দুপুরের প্রয়োজনীয় ঘুমটা হয়তো তারা পুষিয়ে নেয় রাতে একটা ‘কড়া ঘুম’ দিয়ে। মোট কথা, শিশুরা বিশ্রামের বেলায় কোনো ফাঁকিতে বিশ্বাসী নয়। এতে করে প্রতিটা দিন তাদের কাছে আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে।

.৬. শিশুরা সব সময় শেখে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষ সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায় কোনো কিছু শিখলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কাজের ফাঁকে কোনো কিছু শেখেন, তাদের ব্যক্তিত্ব আর শাণিত হয়, কর্মক্ষেত্রেও উন্নতি হয় চোখে পড়ার মতো। শিশুরা ঠিক এই কাজটাই করে প্রতিনিয়ত। কবি যেমন বলেছিলেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র...’, শিশুরা এই পঙ্‌ক্তিটাই মেনে চলে অক্ষরে অক্ষরে। তাই শিশুরা সব সময় সুখী।-প্রথম আলো-মেন্টালফ্লস
০২ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে