এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সময়টা ২০১১। তখনও সেলফি-জ্বরে এমন কাবু হয়নি গোটা বিশ্ব। সেলফি শব্দটাই তখনও খুব একটা পরিচিত হয়নি আম জনতার কাছে। সেই সময় ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে ক্যামেরায় পটাপট শাটার টিপে নিজেই নিজের বেশ কয়েকটা ছবি তুলে ফেলে সে। পরবর্তীকালে তুমুল জনপ্রিয় হওয়া সেইসব সেলফির কপিরাইট কিন্তু পায়নি। সেলফিতে তার অধিকার কায়েম করতে আরও একবার আইনি লড়াইয়ে নেমেছে পশুপ্রেমী সংগঠন।
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। কথা হচ্ছে বিখ্যাত selfie-monkey নারুতোকে নিয়ে। ২০১১-য় ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে একবার নিজের ক্যামেরা রেখে উঠে গিয়েছিলেন ওয়াইল্ড লইফ ফটোগ্রাফার ডেভিড জে স্লেটার। সেই ফাঁকে তাঁর ক্যামেরা বেশ কয়েকটা সেলফি তুলে ফেলে সেই সময় বছর ছয়েকের বাঁদর নারুতো।
দ্য পিপল ফল দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস (PETA), এই পশু অধিকার রক্ষা সংগঠন সেলফির পেটেন্ট নারুতোকে পাইয়ে দিতে মার্কিন আদালতে আবেদন করেছে। এর আগে একবার অবশ্য নারুতোর অধিকারের আবেন নিম্ন আদালতে খারিজ হয়ে যায়। মানুষ নয়, এমন কোনও প্রাণীকে কপিরাইট দেওয়া যায় না বলে জানিয়ে দেয় আদালত। তাতে না দমে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পেটা। এই সেলফির পেটেন্ট অবশ্য দাবি করেছেন স্লেটার ও তাঁর কোম্পানিও। কিন্তু এর ফলে নারুতোর অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে দাবি পেটার।
তাদের বক্তব্য, "কপিরাইট আইনে এমন কিছু নেই যার জোরে মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীকে কপিরাইট দেওয়া যেতে পারে না। এর আগে কখনও কপিরাইটের অধিকার মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীকে দেওয়া হয়নি, মানে এমন নয় যে ভবিষ্যতেও কখনও তা দেওয়া যাবে না।" যদি তার তোলা সেলফির অধিকার নারুতো পেয়ে যায়, তাহলে এই প্রথম মানুষ ছাড়া অন্য কোনও প্রাণী কপিরাইটের অধিকারী হবে। মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীদের এখনও পর্যন্ত খাদ্য, বাসস্থান, জল ও অসুস্থ অবস্থায় সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। নারুতোর মধ্যে দিয়ে এবার কপিরাইটের অধিকার তাদের আয়ত্তে আসে কিনা, সেটাই দেখার। : এই সময়
৩আগস্ট,২০১৬/এটিনিউজ২৪/ইসলাম/নাঈম/