ফেনী: ফেনীতে এক বছরের সা'জাপ্রা'প্ত ব্যক্তির সা'জা স্থ'গিত করে আট শ'র্তে প্র'বেশন সু'বিধায় মু'ক্তি দেয়া হয়েছে। বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে এনায়েত পাটোয়ারী নামের ৫৩ বছরের ওই বৃদ্ধকে এ সু'বিধা দেয়া হয়। ফেনীর আদালতে এর আগে কোনো কয়েদি অথবা সা'জাপ্রা'প্ত ব্যক্তিকে প্র'বেশন সুবিধা দেয়া হয়নি।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের পলিটেকনিক্যাল কলেজের গেট থেকে দেড় কেজি গাঁ'জাসহ ফুলগাজী উপজেলার উত্তর তারাকুচা গ্রামের এরশাদ পাটোয়ারীর ছেলে এনায়েত পাটোয়ারীকে গ্রে'ফতার করে পুলিশ। তদ'ন্ত শেষে এসআই শাখাওয়াত হোসেন মা'মলার অভি'যোগপত্র দেন। এ ঘ'টনা'য় পাঁচজন সাক্ষীর জবানব'ন্দি রেক'র্ড করেন আদালত। বুধবার এনায়েত পাটোয়ারীকে এক বছরের বিনাশ্রম কা'রাদ'ণ্ড ও এক হাজার টাকা জ'রিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কা'রাদ'ণ্ড দেন আদালত।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী সা'জাপ্রা'প্ত ব্যক্তির বয়স বিবেচনায় প্র'বেশনের আবেদন করলে আট শ'র্তে তা ম'ঞ্জুর করা হয়। শ'র্তগুলো হলো- মা'দক গ্রহণ, পরিবহন ও বিক্রি না করা, মায়ের দেখাশোনা করা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, এতিম খাওয়ানো ও গাছ রোপণ ইত্যাদি।
আ'দালতের বেঞ্চ সহকারী শাহনুর আলম শাহীন বলেন, আসামির বয়স ৫৩ বছর। তার পিসিআরে কিছু নেই। আসামি আইনের প্রতি শ্র'দ্ধাশীল হয়ে জামিন নেয়ার পরও বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিয়মিত হাজিরা দিয়েছেন। আদালত আসামির অপরা'ধের ধ'রন ও বয়স বিবেচনায় দ'ণ্ডাদেশ স্থ'গিত করে প্র'বেশনের সুযোগ দিয়েছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনীর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের দেশের কারাগারগুলোতে মূলত সং'শোধনের তেমন সুযোগ নেই। যে কারণে দ'ণ্ডভো'গের পর সা'জাপ্রাপ্ত'রা পুনরায় অপরা'ধে জ'ড়িয়ে পড়েন। আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশন দিলে সরকারি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধান থেকে সং'শোধনের সুযোগ পাবেন।