ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুরে আড়াই বছরের ঘুম'ন্ত ছেলেকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে শ্বা'সরো'ধ করে হ'ত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাবার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের মকবুল মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে শিশুটির লা'শ উদ্ধার করা হয়।নিহ'ত শিশু রহমত প্রামাণিক ওই গ্রামের হানিফ প্রামাণিকের (৩০) ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে হানিফ প্রামাণিক পলা'তক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত তিন বছর আগে হানিফ প্রামাণিক বিয়ে করে স্বপ্না আক্তারকে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝগ'ড়া লেগেই থাকত। হানিফ একজন লেগুনাচালক। শিশু রহমতের জন্মের পর থেকেই স্বপ্নাকে সন্দে'হ করত হানিফ। তিনি মাঝে মধ্যেই বলত রহমত তার সন্তান নয়। এ নিয়ে একাধিকবার ঝগ'ড়া-বিবা'দ হয়েছে স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে।
নিহত শিশুর দাদা শুকুর মুন্সী জানান, রাতে তার পুত্রবধূ শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরবর্তীকালে রাত ১০টার দিকে ঘুম ভেঙ্গে দেখেন তার পাশে সন্তান নেই। এ সময় স্বপ্না চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা রাতেই বাড়ির আশপাশে খোঁজ করেন। পরে ধানক্ষেতে শিশু রহমত প্রামাণিকের লা'শ পাওয়া যায়।
শিশুটির মা স্বপ্না আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরো'ধ চলছিল। ছেলেকে আমার স্বামী তার সন্তান বলে স্বীকার করছিল না। আমি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি আসার পর আমার সঙ্গে ঝগ'ড়া শুরু করে।
রাত ১০টার দিকে আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার সন্তান পাশে নেই। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতের ভেতর আমার সন্তানের লা'শ পাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লা'শ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী পলা'তক রয়েছে।
সদরপুর থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাতেই লা'শ উদ্ধার করে ময়'নাত'দন্তের জন্য ম'র্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহ'তের মা শনিবার সকালে তার স্বামীকে আসামি করে একটি হ'ত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা হানিফ প্রামাণিককে আ'টকের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।যুগান্তর