হেফাজত নেতা মামুনুল হকের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক সেনাসদস্য। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বুধবারের সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সোমবার (১২ এপ্রিল) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি মো. ওয়ালিয়ার রহমান, গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। আপনার বড় জামাতা মো. হাবিবুর রহমান, মেজ জামাতা অর্থাৎ জান্নাত আরা ঝর্ণার সাবেক স্বামী মো. জাফর শহিদুল ইসলাম, সর্বাধিক সমালোচিত আপনার মেজ মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার কথিত স্বামী মো. মামুনুল হকসহ সবাই উগ্রপন্থী ইসলামি সংগঠনের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে জড়িত। আপনার মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত। এমনকি আরও জানা যায় যে, আপনার স্ত্রীও জামায়াতপন্থী।’
নোটিশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃদ্বয় বলেন, হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয় কখনো দলীয় নেতাদের জানাননি ওয়ালিয়ার রহমান। তাই তার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওয়ালিয়ার রহমানকে কেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার স্বপক্ষে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে।