সাঁকো থেকে পড়ে নিখোঁজ হয় শ্রবনী আক্তার। নয় বছর বয়সী শ্রাবনীকে খুঁজে হয়রান পরিবার। একে একে বেটে গেছে ২২ ঘণ্টা। এরপর খোঁজ মেলে। তবে মৃত অবস্থায়। মাছধরা বাঁধে তার লাশ পায় এলাকাবাসী। সেখান থেকে উদ্ধার করে সেই সাঁকোর ওপর দিয়ে বাড়িতে লাশ নেওয়া হয় শ্রাবনীর।
মৃত শ্রাবনী ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের বাবলু গাজীর ছোট মেয়ে। ওই গ্রামের চন্দনা-বারাশিয়া নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের চিতাঘাটা নামক এলাকায় বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে যায় শিশুটি। এ ঘটনায় গতকাল সকাল থেকে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। ব্যার্থ হয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে শ্রাবনীকে না পেয়ে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাঁশের সাঁকোর ৩০০ মিটার দূরে বটতলার সামনের মাছধরা জালের বাঁধ থেকে শ্রাবনীর লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তার বাবা বাবলু গাজী ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন।
বোয়ালমারী পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিন মৃধা লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জুমার নামাজের পর তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এটি।