এমটিনিউজ ডেস্ক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিভিন্ন ফসলি জমিতে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হলেও কমছে না দাম। প্রতিদিনের রান্নার কাজে ব্যবহৃত এই পণ্যটির দাম মুনাফা লোভীরা বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপাসিয়া বাজারে ২ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। অথচ একই বাজারে ৪০ কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। তবে লালচে হয়ে গেছে এমন মরিচের দাম ৩০০ টাকা কেজি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।
পাবুর গ্রামের আলী নেওয়াজের ছেলে শাকিল হাসান মোড়ল জানান, ‘পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। কাপাসিয়া বাজারে প্রথম ধাপে ৪০ কেজি ধান ৯০০ টাকায় বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় ধাপে ৯৫০ টাকায় বিক্রি করেছি ধান। ’
একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনছি ৫০ টাকায়। বাজার বেশ চড়া। মানুষ কিভাবে খাইবো, কিভাবেই বা চলবো?’
মরিচ চাষি মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিবছর অল্প হলেও মরিচের চাষ করি। প্রতি বছর ভালো ফলন হয়। এ বছর বাম্পার ফলন হইছে। আজকে আমি ১৯ কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজার ২৯০ টাকা ধরে বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে আমি ২৫০ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। তবে ১ জুলাই ৩৫০ কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছি।
কাঁচা মরিচ বিক্রতা আসাদ বলেন, কৃষকের কাছ থেকে আমরা প্রত্যেকে প্রতিদিন ১০ কেজি করে মরিচ ক্রয় করি। পাইকারি বাজার মূল্যে মরিচের দাম দেই।
অপর বিক্রেতা মাসুদ বলেন, এবার ফলন যেমন হোক বৃষ্টির কারণে ক্ষতিও হয়েছে অনেক। যে কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেশি
কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আশরাফুল জানান, অনেক সময় বেশি দামে কাঁচা মরিচ পাইকারি ক্রয় করতে হয়। আবার ক্রয় করা কাঁচা মরিচ নষ্টও হয়ে যায়। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিকে আমরা একটু বেশি দামে বিক্রি করছি মরিচ
ধান বিক্রেতা ছানাউল্লা বলেন, ‘৪০ কেজি ধানের দাম ৯০০ টাকা আর ২ কেজি কাঁচা মরিচ দামও ৯০০ টাকা। এমন কাণ্ড আগে কখনো দেখিনি।’
গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরাদ দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন কুমার বশাক বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে কৃষককে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি প্রর্দশণী, বালুজুড়ী মরিচের জাতের একাধিক প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলায় মরিচের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। এখানে ভালো মরিচ উৎপাদন হয়েছে। বাজারে মরিচের এতো দাম থাকার কথা নয়। আমি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঙ্গে বাজার মনিটরিং বিষয়ে কথা বলবো।’
গাজীপুর জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, কাঁচা মরিচের দাম শুধু কাপাসিয়ায় বাড়েনি। পুরো দেশেই একই অবস্থা। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি।