গাজীপুর থেকে : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করতে এখন কেবল সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। কখন, কোথায় ফাঁসি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে শুক্রবার রাত ১১ টা পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
তাবে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছে তারা।
মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ ও এর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন-অর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে কারগারের বাইরে দেখা গেছে সংবাদকর্মী আর সাধারণ মানুষের ভিড়। সবার নজর এখন কাশিমপুরের দিকে।
এসপি হারুন-অর রশিদ জানান, বেশ কয়েকদিন আগেই গোটা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। মীর কাশেমের মৃত্যুদণ্ডের কপি কারাগারে আসার পর ওই এলাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের তৎপরতা বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, কারাগারকে ঘিরে আইনশৃংখলা বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে নিয়োজিত করা হয়েছে। কারা ফটকের সামনে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে চেক পোস্টের সংখ্যা। নিয়মিত টহলের পাশপাশি রয়েছে বাড়তি নজরদারি। পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক রাতে এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “সরকারি আদেশ বাস্তাবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই প্রস্তুত আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ীই ফাঁসি কার্যকর করা হবে।” তবে শুক্রবার রাতে ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা নেই বলে ইংগিত দেন তিনি।
কাশিমপুরে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে গাজীপুরের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলামের কাছেও সরকারের নির্বাহী আদেশ আসবে। রাত ৮টা পর্যন্ত তেমন কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান তিনি।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি