কাপাসিয়া গাজীপুর : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহর জানাজা গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণকালের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এর আগে শুক্রবার সকালে গাজীপুর সদরের রাজবাড়ী মাঠে হান্নান শাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও হাজার হাজার নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন গাজীপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মনিরুল ইসলাম খান।
রাজবাড়ী মাঠে জানাজার আগে হান্নান শাহর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তার রাজনৈতিক সহকর্মী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এসময় আরও বক্তব্য দেন হান্নান শাহর দুই ছেলে, বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগের গাজীপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
জুমার নামাজের পর কাপাসিয়ার ঘাগুটিয়া চালা হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশে দাফন করা হবে হান্নান শাহকে।
আ স ম হান্নান শাহ্'র তৃতীয় নামাজে জানাজা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক। জানাজায় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
এর আগে দুটি নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হয় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। এ দুটি নামাজে জানাজায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করে।
গত মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের র্যাফেল হার্ট সেন্টারে হান্নান শাহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের এক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ। মরহুমের ছোট ছেলে শাহ্ রিয়াজুল হান্নান ও মেয়ে শারমিন হান্নান সুমি মরদেহের সঙ্গে ছিলেন।
লাশ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে ছিলেন হান্নান শাহ্'র বড় ছেলে শাহ্ রেজাউল হান্নান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
বিমানবন্দর থেকে লাশ আনা হয় মরহুমের মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায়। সেখানে দলীয় নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজনসহ সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর লাশ নেয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।
হান্নান শাহ্’র মৃত্যুতে মঙ্গলবার থেকে ৪ দিনের শোক ঘোষণা করেছে বিএনপি। শোকের দ্বিতীয়দিনে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের অফিসে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খোলা শোক বইতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সই করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা উন্মুক্ত থাকবে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস