শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্: কোটি টাকা মূল্যের দামি প্রাডো গাড়ি এবার নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল গাজীপুরের কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুর বাজার এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
নদীতে কে বা কারা কেন কোটি টাকা মূল্যের দামি গাড়ি ফেলে দিয়েছেন, এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। কোনো বড় ধরনের অপরাধ ধামাচাপা দিতে নাকি অন্য কিছু। আর এ দৃশ্য দেখতে নদীর দুই পাড়ে কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোথাও বড় ধরনের অপরাধ করে আলামত নষ্ট করতে গাড়িটি নদীতে ফেলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম বলেন, গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে চাবি লাগানো ছিল। হয়তো গাড়িটি চালু অবস্থায় নদীর পাড় থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে গাড়ির ভিতরে কোনো মৃতদেহ বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। গতকাল দুপুরে বাদল সরকার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর মাছের ঘেরের ভিতর গাড়ি ডুবন্ত দেখে এলাকাবাসী কাপাসিয়া থানায় খবর দেয়।
পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় গাড়িটি উদ্ধার করে। নম্বর প্লেটে লেখা রয়েছে ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২০২৯। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাপাসিয়া-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কের দস্যুনারায়ণপুর বাজারের উত্তর পাশে নদীর তীর থেকে ১০০ হাত দূরে পানিতে ডুবুডুবু অবস্থায় প্রাডো মডেলের একটি দামি গাড়ি পড়ে আছে। নদীর পানি থেকে তীর ২০০ ফুট উঁচু হবে।
দুপুর থেকে দিনব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে গাড়িটি তীরে ওঠাতে সক্ষম হয় পুলিশ। গাড়ির ভিতরে চাবি লাগানো অবস্থায় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর জানান, ‘নদীর পাড়ে এসে দেখতে পাই পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় কী যেন দেখা যাচ্ছে। তখন আমি ডাকাডাকি করতে থাকি। ’ মাছের ঘেরের মালিক বাদল সরকার বলেন, ‘বাজার থেকে একজন আমাকে ফোন দিয়ে জানান আমার ঘেরে গাড়ি পাওয়া গেছে।
দ্রুত ছুটে এসে দেখি একটি দামি গাড়ি পানিতে ডুবুডুবু অবস্থায় পড়ে আছে।’ কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কোটি টাকা মূল্যের প্রাডো মডেলের একটি গাড়ি নদীতে ভাসছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পাই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়িটি পানি থেকে তীরে ওঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’-বিডি প্রতিদিন
২০ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ