গাজীপুর থেকে : নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া ফারুক হোসেন প্রিয়ক এবং তার ৩ বছরের মেয়ে প্রিয়ংময়ী তামাররার মরদেহ পৌঁছেছে তাদের গ্রামের বাড়িতে। সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামে তাদের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছায়।
সন্তান ও নাতির মরদেহ দেখে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন প্রিয়কের মা ফিরোজা বেগম। তার আর্তচিৎকারে অশ্রুসজল হয়ে যায় উপস্থিত সবার চোখ। এদিকে স্বামী ও সন্তানের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনা হয় প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানিকে। একই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি।
মৃত সন্তানকে দেখে এ্যানি বলেন, তোমরা আমার মেয়েকে এনে দাও। আর কিছুই চাই না আমি। মা তামাররা তুমি কোথায়? কথাগুলো বলেই জ্ঞান হারিয়ে অচেতন হয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিএস-২১১ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ(৩২), তার স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি(২৫) এবং তাদের একমাত্র সন্তান প্রিয়ংময়ী তামাররা। ফারুক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন।
এমটিনিউজ/এসএস