গাজীপুর থেকে: নির্বাচনী প্রচার আমেজের মাঝেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। উচ্চ আদালতের আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর আলম এ কথা বলেন। এরই মধ্যে তিনি বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি জানতে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। জাহাঙ্গীরের দাবি, তার পক্ষে নির্বাচনী জোয়ার দেখে এই রিট করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এ নিয়ে আদালতে লড়াই করে যাবেন।
আগামী ১৫ মের ভোটকে সামনে রেখে গাজীপুরে জমজমাট প্রচার চলার সময় হঠাৎ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ আসে হাইকোর্টে থেকে। সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায়।
গাজীপুরে সাত জন মেয়র প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার।
উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর পর হাসান সরকার প্রচার বন্ধ করে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। তবে জাহাঙ্গীর তখনও প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। বিকাল চারটার পর জাহাঙ্গীর রওয়ানা হন ঢাকার পথে।
এর মধ্যেই সঙ্গে কথা হয় জাহাঙ্গীরের। তিনি বলেন, ‘এটা (হাইকোর্টে রিট) ষড়যন্ত্র। আমার পক্ষে নির্বাচনী জোয়ার দেখে একটি মহল এই কাজ করেছে। আমি রায়ের কপি নিয়ে আপিল করব।’
উচ্চ আদালতে রিটকারী আজহারুল ইসলাম সুরুজ নিজেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তবে তিনি গাজীপুরের নেতা নন। ঢাকার সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন তার নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকার ছয়টি মৌজা ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর নির্বাচন কমিশন গত ৪ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় আর ৩১ মার্চ ঘোষণা করা হয় তফসিল।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এটা ঠিক হয়নি। জনগণের মধ্যে একটা উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। তারা ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে উন্মুখ হয়েছিল। যারা করেছে এটা ঠিক করেনি।’
‘জনগণের অধিকার নিয়ে মামলা করা ঠিক নয়। নির্বাচন হয়ে যাওয়া সবচেয়ে ভালো ছিলো। আমি নির্বাচনের পক্ষে। এখানে লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য উৎসুক হয়ে আছে। ‘আমি আপিল করব। আমার নিশ্চিত বিজয় ঠেকানোর জন্যই এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি