গাজীপুর: বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে নয়, জাহাঙ্গীর আলমের ভয় আজমত উল্লাহ এবং তাঁর লোকজনকে। অন্যদিকে হাসান উদ্দিন সরকারের প্রধান মাথাব্যথা আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নয় বরং তাঁর দলের নেতা বর্তমান মেয়র আব্দুল মান্নান। আজ থেকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরু হচ্ছে। ২
৬ জুন দেশের বৃহত্তম এই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শুরুতেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলই প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখছে প্রধান দুই দল। আওয়ামী লীগ থেকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ।
কিন্তু দল তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে বেছে নেয়। আজমত উল্লাহ প্রকাশ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন, হয়েছেন তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। কিন্তু তাঁর ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, আজমত উল্লাহ গোপনে তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করছে। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফা দেন-দরবার হলেও কাজ হয়নি।
আজমত উল্লাহ তাও গোপনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন বলে অভিযোগ কিন্তু আবদুল মান্নান বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেমেছেন প্রকাশ্যে। আবদুল মান্নানের লোকজন প্রকাশ্যেই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে কাজ করছেন।
এ নিয়ে, ঢাকায় দেন-দরবার হয়েছে। হাসান উদ্দিন সরকার এবং আবদুল মান্নানের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য দুজনকেই রোজার মধ্যে ঢাকায় তলব করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব। কিন্তু ঐ সমঝোতা বৈঠকে হাসান উদ্দিন সরকার যোগ দেননি। বরং তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে এই অভ্যন্তরীণ বিরোধ মীমাংসার উপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনগণের ভোটের চেয়েও এটি হতে পারে নির্বাচনের অন্যতম ভাগ্য নির্ধারক।-বাংলা ইনসাইডার