গাজীপুর: মাওনা হতে গাজীপুর চৌরাস্তায় শত শত গাড়ি জ্যামে আটকা পড়েছে। শুক্রবার জুমার পর প্রচণ্ড গরমে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা যখন হাঁসফাঁস করছিল, তখন তাদের জন্য খাবার পানি নিয়ে এগিয়ে আসে পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার ছাত্ররা।
প্রায় তিন থেকে চার মাইলের মত হেঁটে জ্যামে আটকে থাকা প্রতিটি যাত্রীর কাছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পৌঁছে দিয়ে আসেন খাবার পানি। এ ছবি রাশেদ খান নামের একজন ফেসবুকে আপ করেন। ফেসবুকে ইতিমধ্যে ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ফেসবুকে কমেন্টে ভার্চুয়াল জগতে এ নিয়ে ঝড় উঠেছে। মাদ্রাসার ছাত্রদের এমন দৃষ্টান্তের কারণে তাদের প্রতি প্রশংসার বন্যা বইছে।
ডিজে হাসান নামের একজন লেখেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এদের জন্যই পৃথিবীটা এখনও বেঁচে আছে। আল্লাহ ওদের উসিলায় আমাদেরও কবুল করুক।’
সাইয়্যেদ সোহাগ নামের একজন লেখেন, ‘শুধু অন্তর থেকে দোয়া আসে এদের জন্য... ধিক্ তাদের যারা জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র বলে এদেরকে সমাজে অবহেলিত করে রেখেছে।’
আবু তাহমিদ লেখেন, ‘এই ব্যাপারগুলোই দরকার। মাদ্রাসার ছাত্রদের জনকল্যাণমূলক কাজে বেশি বেশি জড়িত হওয়া দরকার।’
আহমেদ সুজন লেখেন, ‘তোমরা যাঁরা এসব গরিব মাদ্রাসা ছাত্রদের তাচ্ছিল্য করে কথা বলো, যাঁরা এদেরকে পেটপূজারী বলে গালি দাও, যাঁরা বলো এরা মানবতা বুঝে না, তাঁদের চোখ কি এখন ঠিক জায়গাতে আছে?’
ফয়সাল খান লেখেন, ‘এই বাচ্চারা কোনো পরিকল্পনা বা উদ্দেশ্য ছাড়াই শুধুমাত্র মানবতার ডাকেই এই কাজটা করেছে। এরা এগুলোর কোনো পাবলিসিটিও চায় না। ইনশা'আল্লাহ আল্লাহ তায়ালাই এর একমাত্র উত্তম প্রতিদানকারী হবেন।’
শরীফুর রহমান লেখেন, ‘এরা কেমন উস্তাদের শিষ্য জানতে খুবই ইচ্ছে করছে। আল্লাহ তায়ালা তাদের সহীহ নিয়্যাতের বদলা দান করুন।’
ওমর ফারুক নামের একজন লেখেন, ‘এই রকম কাজে আর বেশি বেশি অংশগ্রহণ করতে হবে। সাধারণ মানুষের এত দিনের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে দিতে হবে।’