নিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি যে আসন থেকে নির্বাচন করতেন, সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তার বোন সিমিন হোসেন রিমি।
সিমিন হোসেন রিমি এই আসনে টানা দুবারের সংসদ সদস্য। সোহেল তাজ পদত্যাগ করার পর গাজীপুর-৪ আসনে উপনির্বাচন করে বিজয়ী হন তাজউদ্দীনকন্যা। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।
এবারও সিমিন হোসেন রিমির ওপরই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ। আর তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নামছেন সোহেল তাজ। তিনি ভোটের মাঠ চষে বেড়াবেন। তাজউদ্দীন আহমদ, সোহেল তাজের ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে আসনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে তাজউদ্দীন পরিবার।
সোহেল তাজ আজ রোববার তার বাড়ি কাপাসিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী রিমির পক্ষে মাঠে নামবেন বলে জানা গেছে।
একসময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা সোহেল তাজ রাজনীতি থেকে দূরে। তাই এবারও মনোনয়ন চাননি তিনি। নিজে রাজনীতি থেকে দূরে সরলেও বোনের পক্ষে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় এ রাজনীতিক।
বড়বোনের পক্ষে কাজ করতে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন সোহেল তাজ। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ কয়দিন কুশলবিনিময় করে সময় কাটান তিনি। রিমির নির্বাচনী মাঠ নির্বিঘ্ন ও সহজ করতে নিয়েছেন কিছু কৌশল।
সোহেল তাজ আজ সকালে কাপাসিয়ায় একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। পরে বিকালে দরদরিয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সিমিন হোসেন রিমি যে আসনে নির্বাচন করছেন, সেই আসনে এবার বিএনপি থেকে নির্বাচন করছেন দলের সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান। এ দুই নেতার লড়াইটা ভালোই জমবে বলে মনে করছেন কাপাসিয়ার ভোটাররা। তাই বোনকে সহায়তা করতে দেশে এসেছেন সোহেল তাজ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও ২০০৯ সালের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে আচমকা পদত্যাগ করেন। চলে যান সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে।
২০১২ সালের ৭ জুলাই সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। মাঝেমধ্যে সামাজিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থাকলেও রাজনীতিতে যুক্ত হবেন না বলে তখন সাফ জানিয়ে দেন সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সোহেল তাজ ফের আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে। তখন রাজনীতির অন্দরমহলে আলোচনা শুরু হয় যে, সোহেল তাজ রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। ওই সময় তিনি দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে সোহেল তাজকে আনা হচ্ছে-এমন গুঞ্জনও শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি।
ব্যক্তিগতজীবনে সোহেল তাজের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে তুরাজ আহমদ তাজ লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেছেন।সোহেল তাজ পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন।