বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৩:১০

পরপুরুষের সাথে অনৈ'তিক সম্পর্কে বাধ্য করায় স্বামীকে হ'ত্যা!

পরপুরুষের সাথে অনৈ'তিক সম্পর্কে বাধ্য করায় স্বামীকে হ'ত্যা!

গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে অনৈ'তিক কর্মকা'ণ্ড করতে বা'ধ্য করায় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের (৪৫) গলা কে'টে হ'ত্যা করার পরিক'ল্পনা করে স্ত্রী (সামিরা)। জিজ্ঞা'সাবাদে হ'ত্যার বিষয়টি স্বী'কার করে র‌্যাবের কাছে এমনটিই দাবি করেছেন সামিরা।

সামিরার দাবি, বিয়ের পর থেকে ঘটনার দিন পর্যন্ত আবদুর রহমান কখনও ব্যবসায়িক স্বা'র্থে, আবার কখনও বিপুল টাকার বিনিময়ে তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে তাকে শারী'রিক সম্প'র্ক স্থা'পনে বা'ধ্য করতেন। না করলে নি'র্যা'তন করতেন। এসব নি'র্যা'তন স'হ্য করতে না পেরে রহমানের কাছে ডিভো'র্স চান তিনি। এতে উ'ল্টো তাকে এবং তার মা-ভাইকে খু'নের হু'মকি দেন রহমান। এতে ক্ষি'প্ত হয়ে তিনি আবদুর রহমানের ওপর প্রতিশো'ধ নিতে খু'নের পরিক'ল্পনা করেন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলার শ্রীপুর পৌর সভার কেওয়া পশ্চিম খ'ণ্ড এলাকায় তিন তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে রহমানের ঝ'লসা'নো অবস্থায় গ'লাকা'টা ম'রদে'হ উদ্ধা'র করা হয়।

খু'ন হওয়া আবদুর রহমান (৫২) চকপাড়ার পাশের গাজীপুর গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জমি কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন।

তিনি আরও জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে ঘুমের মধ্যে গ'লাকে'টে হ'ত্যা করে এসি'ড দিয়ে মুখ ঝ'লসে দিয়ে ম'রদে'হ ঘরের ভেতরে ফে'লে রাখা হয়। কয়েকদিনে ম'রদে'হটি পচে দুর্গ'ন্ধ বের হলে এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে পুলিশ লা'শ উদ্ধা'র করে।

নিহ'ত আবদুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ ঘটনায় সামিরা, সামিরার বাবা ও মাকে আসামি করে একটি হ'ত্যা মামলা দায়ের করেন।

সামিরার দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে আব্দুর রহমানের ব্যবসায়িক পার্টনার রতন মিয়ার সাথে তার ইচ্ছার বিরু'দ্ধে জো'রপূ'র্বক যৌ'ন কাজে লি'প্ত হতে বা'ধ্য করে। পরে রতন রাত ১১টায় বাসা থেকে চলে গেলে ভোর রাত আনুমানিক ৩টায় সামিরা বাসায় থাকা ধা'রালো দা দিয়ে ঘুম'ন্ত অবস্থা'য় স্বামী আব্দুর রহমানকে জ'বাই করে হ'ত্যা করে। আব্দুর রহমানকে যেন চেনা না যায় সে জন্য লা'শের মু'খে অ্যা'সি'ড দিয়ে ঝ'লসে দেয় সামিরা এবং লা'শটি তো'ষক দিয়ে মু'ড়িয়ে রাখে। ঘটনার পর লা'শ সরিয়ে ফেরার জন্য সামিরা তিনদিন ওই ভাড়া বাসায় অবস্থান করে। কিন্তু লাশ স'রিয়ে ফে'লতে ব্য'র্থ হয়ে বাসা থেকে পা'লিয়ে যান তিনি।

পরে সামিরা উপজেলার কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়া গ্রামের বান্ধবীর বাসায় দুই দিন আ'ত্মগো'পনে থাকার পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নওগাঁয় মামার বাড়িতে চলে যান। পরদিন রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিনখান (কোটবাড়ি) এলাকার তার চাচার বাসায় আ'ত্মগো'পন করেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে