নিউজ ডেস্ক : গাজীপুরে গত ৪৮ ঘণ্টায় দুই শিশুসহ ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। তারমধ্যে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। আ'ক্রা'ন্তদের মধ্যে সিভিল সার্জন অফিসের নাইটগার্ডও রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শ'নাক্ত হলো। ব্যাপক হারে করোনা ছ'ড়িয়ে পড়ায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে গাজীপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, গতকাল শুক্রবার ২৫ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। শনিবার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫ জনের শরীরে করোনাভাইস পজেটিভ এসেছে। এ ৫ জনের মধ্যে তার অফিসের নাইটগার্ডও রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা থেকে ২৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার তাদের মধ্যে ৪জনের শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে। এর আগে গাজীপুরের পুবাইলের মা ও শিশু কেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালি ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে এবং পরে নগরীর তেলিপাড়ায় একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। নিয়ে জেলায় মোট আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন ১১জন। তবে প্রথম আ'ক্রা'ন্ত দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। নতুন আ'ক্রা'ন্তদের ঢাকার কুর্মিটুলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার আ'ক্রা'ন্তদের মধ্যে একজনের বাড়ি কাপাসিয়ায়। তিনি একটি ফিডমিলে চাকুরি করেন। অন্য তিনজনের ২ জনের বাসা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলে এবং একজনের গাছা থানা এলাকায়। ওই তিনজনের এজন নারী অন্য দুইজন শিশু। শিশুদের একজনের বয়স ৯ অপর জনের ৪। শনিবার আ'ক্রা'ন্তদের মধ্যে সিভিল সার্জন অফিসের নাইট গার্ডের বাড়ি বাপাসিয়ায়। বাকি ৪ জনের মধ্যে ২ জনের বাসা সিটি করপোরেশনের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এলাকায়। অন্য দুইজনের অবস্থান নগরীর কোন এলাকায় তা জানা যায়নি। মোট আ'ক্রা'ন্ত ১১ জনের ৯ জনই গাজীপুর মহানগরীর বাসিন্দা এবং ২ জন কাপাসিয়ার।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এম এম তরিকুল ইসলাম বলেন, জেলার শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও কালিয়াকৈরে এখন পর্যন্ত কেউ আ'ক্রা'ন্ত হননি। তবে জেলার কাপাসিয়ায় ২ জন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়ায় গেছে। আরো বেশ কয়েকজনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। সার্বিক বিবেচনায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে পুরো জেলা লকডাইন ঘোষণা করা হয়েছে। জনসাধারনকে ঘর থেকে বের না হতে বলা হয়েছে।