নিউজ ডেস্ক : গাজীপুরে নতুন করে ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনা'ক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন কাপাসিয়ার ও ৫ জন কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা ২২ জনে উন্নীত হল। আক্রা'ন্তের তালিকায় ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের পর তৃতীয় অবস্থান গাজীপুরের।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে রবিবার সন্ধ্যায় জানা যায়, শনিবার ১৩৩ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার পর রবিবার বিকেলে আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানানো হয়েছে জেলায় ১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। তাদের মধ্যে ৬ জনের বাড়ি কাপাসিয়ায় ও ৫ জনের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলায়। শনিবার চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারীর করোনাভাইরাস শনা'ক্ত হওয়ার পর সিভিল সার্জনসহ অফিসের ১৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এ অবস্থাতেই টেলিফোনে সিভিল সার্জন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কাপাসিয়ায় আক্রা'ন্তদের সকলেই ছোয়া ফিড মিলের কর্মচারী। মিলটিরিএকজন বিপনন কর্মকর্তার শরীরে করোনাভাইরাস সং'ক্রমণ ধরা পড়ার পর কারখানা লকডাউন করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত দেড় শতাধিক কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। শনিবার তাদের মধ্যে ৭৫ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলে রবিবার ৬ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ ধ'রা পরে। রবিবার নতুন করে ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করে একত্রে ঢাকায় পাঠানো হবে। যে ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে তাদের কার্যত উপসর্গ নেই বলে জানান সংশ্লিস্টরা।
এদিকে কালীগঞ্জে করোনাভাইরাস আক্রা'ন্তরা সকলেই নারায়নগঞ্জ ফেরত বলে সূত্র দাবি করেছে। নারায়নগঞ্জ লকডাউন হওয়ার পর তারা কালীগঞ্জে আসেন।