শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্: গাজীপুরে সহকারী কমিশনার (এসি)-সহ পুলিশের ৩২জন সদস্য গত সোমবার (২০ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার এবং বাকি ৭ জন হলেন গাজীপুর জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ থানার পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার পাওয়া তথ্যমতে মহানগর পুলিশের গাছা থানার আরও ২০ জন সদস্যের দে'হে নতুনভাবে করোনাভাইরাস পজেটিভ (আক্রা'ন্ত) শ'নাক্ত হয়েছে। এর কয়েকদিন আগে এ থানার আরও ৫জনের মধ্যে করোনা সং'ক্রমন পজেটিভ ধ'রা পড়ে। করোনায় আক্রা'ন্তদের মধ্যে গাছা জোনের এসি, একজন পুলিশ পরিদর্শক ও পুলিশের মহিলা সদস্যরাও রয়েছেন। করোনায় আক্রা'ন্ত পুলিশের তিন নারী সদস্য ছাড়া সকলেই থানায় আইসোলেশনে আছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন জানান, গত ১৩ এপ্রিল জিএমপি’র গাছা থানার এক এসআই প্রথম করোনায় আক্রা'ন্ত হন। এরপর ১৬ এপ্রিল গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ও পুলিশের আরও দুই সদস্য এবং থানার এক কর্মীর (বাবুর্চি) দেহে করোনাভাইরাস পজেটিভ শনা'ক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাসের সং'ক্রমন নিশ্চিত হতে গত ১৮ এপ্রিল মেডিকেল টিম গাছা থানা পুলিশের আরও ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠায়। সোমবার তাদের ২০ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস শনা'ক্ত হয়। এ নিয়ে গাছা থানার ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর শরীরের করোনা ভাইরাসের সং'ক্রমন পাওয়া গেছে। গাছা থানার আরও ৪২ জনের মতো পুলিশের ও স্টাফের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ থানার সাতজনের মধ্যে করোনা সং'ক্রমনের তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত। তবে করোনা ভাইরাসের সং'ক্রমন নিশ্চিত হতে ওই থানার আরও কয়েক সদস্যের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে যাদের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত বলেন, আক্রা'ন্ত পুলিশ সদস্যের চিকিৎসায় কোন গাফিলতি হচ্ছে না।-বিডি প্রতিদিন