গাজীপুর: দেশে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালু করা হয়েছে। কারখানায় যোগ দিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন পোশাককর্মীরা। এরই মধ্যে বিভভি কারখানায় করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত রোগী শনা'ক্ত হয়েছে।
এবার গাজীপুরের দুই পোশাক কারখানায় দুইজন করোনায় আক্রা'ন্ত হয়েছেন। একজন মহানগরীর গাছা এবং আরেকজন টঙ্গী এলাকায় পোশাক কারাখনায় কাজ করেন। একজনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অপরজন টঙ্গীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আক্রা'ন্ত দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার হরনাথপুর কাদিরাবাদ এলাকায় এবং তার বয়স ২৮। তিনি করোনার ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বুক ও গলা জ্বা'লা পো'ড়া দেখা দেয়। রংপুরে তার ন'মুনা পরীক্ষা করা হয়।
এরপর ২৮ এপ্রিল সে গাজীপুরে আসে। এ ব্যাপারে সেই পোশাককর্মী বলেন, ‘শুক্রবার (পহেলা মে) ফোনে রংপুর থেকে জানানো হয় আমি করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছি। তাই কারখানার কাজে যোগ না দিয়ে শনিবার রাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই।’ গাজীপুর থেকে রংপুরে গিয়েই তিনি অসুস্থ হন বলে জানান।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক তপন কুমার সরকার বলেন, এ হাসপাতাল এখন কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল; তাই এখানে শুধু করোনা পজেটিভ রোগীদের আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। করোনা পজিটিভ ছাড়া অন্য কাউকে এখানে ভর্তি করা হয় না।
অন্যজন গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার মুদাফা এলাকায় বসবাস করে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তিনিও করোনার ছুটিতে গ্রামে চলে যান। সেখান থেকে পহেলা মে মুদাফা এলাকায় ফিরে আসেন। পরে টঙ্গীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তার ন'মুনা পরীক্ষা করলে করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়। বাড়ি থেকে আসার পর তিনি আর কারখানায় যোগ দেননি বলে জানান।