আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জানাযা নামাজে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু লিলি সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। নামাজ শুরুর আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি ছিলেন সৎ, ধর্মপরায়ণ এবং দায়িত্বশীল। সংসার ও আমার রাজনৈতিক জীবনে প্রতিষ্ঠার পেছনে তার অবদান অনেক।
এ কথা বলেই অঝোরে কাঁদেন মন্ত্রী। নিজেকে সামলে নিয়ে মন্ত্রী বলেন, একজন স্ত্রী ভালো না খা'রাপ, তা কেবল স্বামীই ভালো বলতে পারেন। শিশু বয়সে মহামা'রি কলেরায় আমি মাকে হা'রিয়েছি। আমার স্ত্রী সবসময় চাইতেন কোনো মহামা'রিতে যেন তার মৃত্যু হয়। তাহলে শহীদের মর্যাদা পাবেন। তার ইচ্ছাই শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। মহামা'রিতেই তার মৃত্যু হলো। নি'শ্চ'য়ই তিনি শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন।
আজ সোমবার যোহরের নামাজের পর গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর দারুস সালাম গোবরস্থান জামে মসজিদ মাঠে মন্ত্রীর স্ত্রীর জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মন্ত্রীর একমাত্র ছেলে এটি এম মাজহারুল হক তুষার। নামাজ শুরুর আগে বক্তব্যে স্ত্রীর জন্য দোয়া চান মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।