শ্রীপুর (গাজীপুর): গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চাকরিজীবী এক তরুণীকে (৩২) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন-মুলাইদ গ্রামের নজুম উদ্দিনের ছেলে মিজান ফকির (৩০), একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সুলতান উদ্দিন (২৪), সুরুজ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন সুবল (২২) ও রানা (২৭)। আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর অভিযুক্ত সুলতান উদ্দিনকে পুলিশ আটক করলেও অন্যরা পলাতক। অভিযুক্তদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন সুবল ও রানা স্থানীয় এএসআর কম্পিউটার জ্যাকার নামক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
ধর্ষণের শিকার তরুণের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক অপারেশন গোলাম সারোয়ার বলেন, ওই তরণের বাড়ি জেলার কালিয়াকৈর হলেও তিনি শ্রীপুরে ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় এএসআর কম্পিউটার জ্যাকার নামক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। গত ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে বাড়ির মালিক তাকে অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে গভীর রাতে রাস্তায় ঘুরতে দেখে মিজান ফকির আশ্রয় দেয়ার কথা বলে তাকে তার ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এই কক্ষেই অন্য অভিযুক্তরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরদিন দুপুরে কক্ষ থেকে বের করে দেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ ও একজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।